শিরোনাম
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৭:০৯, ১৮ জুলাই ২০২৫
ছবি: ঢাকা এক্সপ্রেস
শুক্রবার (১৮ জুলাই) বেলা ১১টায় রাজধানী ঢাকার নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর।
সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক শেখ মো. এনামুল হক সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মরহুমের জানাজার সময় ও স্থান পরে জানানো হবে।
প্রবীণ এই নেতার মৃত্যুতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, জেলা বিএনপির সভাপতি রুমানা মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানিয়েছেন।
আব্দুল মান্নান তালুকদার ১৯৩৬ সালের ২ মার্চ সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ উপজেলার ধুবিল ইউনিয়নের একটি ঐতিহ্যবাহী মুসলিম জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন ব্রিটিশ আমলের খ্যাতিমান জমিদার মুন্সি আব্দুর রহমান তালুকদারের বংশধর এবং কাটার মহল পরগনার প্রতিষ্ঠাতা জমিদার ফজলার রহমান তালুকদারের পঞ্চম সন্তান।
১৯৫৪ সালে মেট্রিকুলেশন শেষে তিনি সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজে ভর্তি হন এবং ছাত্রজীবনে সমাজসেবা সম্পাদক হিসেবে ছাত্ররাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন।
রাজনীতির পাশাপাশি তিনি ‘সোনালী আঁশ’ নামে একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন, যা ১৯৬৬ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত সুনামের সঙ্গে পরিচালিত হয়। একই সময়ে তিনি একজন প্রথম শ্রেণির সফল ঠিকাদার হিসেবেও বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেন।
১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে সিরাজগঞ্জ-৩ আসন থেকে বিপুল ভোটে জয়ী হন। এরপর টানা ১৯৯১, ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬, জুন ১৯৯৬ এবং ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনে জয়লাভ করে চারবার সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৮ ও ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিলেও জয়ী হতে পারেননি।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, তিন পুত্র, তিন কন্যা সন্তানসহ বহু রাজনৈতিক সহযোদ্ধা ও গুণমুগ্ধ নেতা-কর্মী রেখে গেছেন।
তার মৃত্যুতে সিরাজগঞ্জের রাজনৈতিক অঙ্গনে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে। একুশ শতকের প্রথম দশকে যারা সিরাজগঞ্জের রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার করেছেন, তাদের মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম এক প্রজ্ঞাবান নেতা। আল্লাহ তাআলা তাকে জান্নাতুল ফেরদৌসের উচ্চ মাকাম দান করুন। আমিন।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ইউকে