শিরোনাম
বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ: ২১:০০, ২০ মে ২০২৫ | আপডেট: ২১:৩৯, ২০ মে ২০২৫
রবিবার রাত ২টায় ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় মাইনুল আহসান নোবেলকে। অভিযোগ, একজন নারীকে তার বাসায় আটকে রেখে ধর্ষণ করেছেন নোবেল। শুধু তাই নয়—মারধর, মুঠোফোন ভাঙচুর, ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইল—সবই করেছেন নেশায় ডুবে থাকা নোবেল।
ভিকটিমকে ১২ নভেম্বর থেকে ১৯ মে পর্যন্ত বন্দি করে রাখার অভিযোগ উঠেছে। নির্যাতনের ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিও দেখে ভুক্তভোগীর পরিবার ৯৯৯-এ কল করে, এবং পুলিশের তৎপরতায় উদ্ধার হন নির্যাতিতা। ভিডিওতে দেখা যায়, নরপিচাশ হয়ে উঠা নোবেল কিভাবে চুল ধরে টেনে সিড়ি থেকে নামাচ্ছে ভুক্তভোগীকে।
নারী নির্যাতন এই প্রথম নয়! গায়ক হিসেবে পরিচিতি পাওয়ার আগে তিনি দুটি বিয়ে করেন। প্রথম বিয়ে করেন রিমি নামের একটি মেয়েকে। সেই সংসার বেশিদিন টেকেনি। এরপর এক আত্নীয়র মেয়েকে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেছিলেন বিতর্কিত এই গায়ক। বেশিদিন টেকেনি সেই সংসারও। পরবর্তীতে ২০১৯ সালে মেহরুবা সালসাবিলকে বিয়ে করেন নোবেল। সেই সংসারেও একই অভিযোগ- মাদকাসক্ত হয়ে স্ত্রীকে মারধর। পরিণতি হয় বিচ্ছেদ। এরপর ফুড ব্লগার ফারজান আরশি অভিযোগ তোলেন, জোর করে তুলে নিয়ে মাদক খাইয়ে ঘনিষ্ঠ ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন।
শুধু কি নারী নির্যাতন! রবীন্দ্রনাথ থেকে গানের কিংবদন্তি- কাউকেই অপমান করতে বাদ দেননি এই গায়ক। ২০২৩ সালে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন নোবেল। একটা সময় নোবেলকে ভর্তি করা হয় মাদকাসক্ত পুনর্বাসন কেন্দ্রে অর্থাৎ রিহ্যাবে। কিন্তু সেখান থেকে ফিরেও নোবেলের কোনো পরিবর্তন ঘটেনি।
কণ্ঠস্বরের যাদুতে শুরুর দিকে মন জয় করলেও, চরিত্র ও আচরণে নোবেল বারবার প্রমাণ দিয়েছেন—তিনি ‘তারকা’ নয়, বরং আত্মম্ভরিতার প্রতিচ্ছবি! যেখানে একজন শিল্পীর হওয়ার কথা সমাজের আদর্শ, সেখানে নোবেল হয়েছেন নৈতিক অবক্ষয়ের প্রতীক। মঞ্চে, ঘরে, অনলাইনে—সবখানেই নৈরাজ্য!"
ঢাকা এক্সপ্রেস/ এমআরএইচ