শিরোনাম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২১:৩৮, ২০ মে ২০২৫
তিনি আরও বলেন, ‘ইসরায়েলি যুদ্ধাপরাধ কীভাবে অ্যাজুর দ্বারা চালিত হচ্ছে, তা দেখান।’ সিকিউরিটি কর্মীরা তাকে বের করে দেওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি দৃঢ় অবস্থানে ছিলেন।
এই ঘটনাটি ছিল মাইক্রোসফটের ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কবিরোধী আন্দোলনের সর্বশেষ প্রকাশ। দ্য গার্ডিয়ানের তথ্য অনুসারে, মাইক্রোসফট অ্যাজুর ইসরায়েলের বিমানবাহিনীর ‘ওফেক ইউনিট’ ব্যবহার করে, যারা সরাসরি টার্গেট চিহ্নিত করে বিমান হামলা চালায়।
বিক্ষোভের পর জো লোপেজ কর্মীদের একটি ইমেইল পাঠিয়ে লেখেন, ‘বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ কোম্পানি হিসেবে মাইক্রোসফটের দায়িত্ব আছে সঠিক কাজটি করার—এই নিষ্ঠুরতা বন্ধ করতে চাপ দেওয়া অথবা আমরা আমাদের প্রযুক্তিগত সহায়তা বন্ধ করব।’
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “নেতৃত্ব যদি আমাদের দাবি উপেক্ষা করে, তবে সেটি বিশ্ববাসীর দৃষ্টি এড়াবে না। বয়কট বাড়বে, আর মাইক্রোসফটের ভাবমূর্তি আরও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।”
তার আরও মন্তব্য, “নেতৃত্ব বলছে আমাদের প্রযুক্তি বেসামরিকদের ক্ষতির কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে না—এটা নির্জলা মিথ্যা। আমাদের প্রতিদিন চোখের সামনে যা ঘটছে, তা-ই যথেষ্ট প্রমাণ।”
‘নো আজিউর ফর অ্যাপার্টহেইড’-সংগঠনের অন্যতম সংগঠক অ্যানা হ্যাটল গত ১৫ মে মাইক্রোসফটের শীর্ষ কর্মকর্তাদের একটি খোলা চিঠিতে লেখেন, ‘এক বছর আগে আমরা জরুরি ভিত্তিতে এই আন্দোলন শুরু করি, যখন গাজায় গণহত্যা চলছিল। ৭৭ বছর আগের নাকবার মতোই আজকেও সেই অপরাধের পুনরাবৃত্তি ঘটছে—এবার মাইক্রোসফটের প্রযুক্তি আরও ভয়াবহ মাত্রা যোগ করেছে।’
এর আগে এপ্রিল মাসে মাইক্রোসফটের এআই প্রধান মোস্তফা সুলেইমানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ থেকে মুনাফা লাভের অভিযোগ তুলেছিলেন কর্মীরা ইবতিহাল আবুস্সাদ ও বেনিয়া আগরওয়াল। পরে দু’জনকেই বরখাস্ত করা হয়। উল্লেখ্য, গুগলও একই ধরনের আন্দোলনে অংশ নেওয়ার অভিযোগে গত বছর ৫০ কর্মীকে চাকরিচ্যুত করে।
জো লোপেজের বিক্ষোভ নিয়ে মাইক্রোসফট কোনো মন্তব্য করেনি। তবে আগের এক অভ্যন্তরীণ তদন্তে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছিল, ইসরায়েল তাদের প্রযুক্তি মানবাধিকার লঙ্ঘনের উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছে-এমন কোনো প্রমাণ তারা পায়নি।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ এমআরএইচ