ঢাকা, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

৭ ফাল্গুন ১৪৩১, ২০ শা'বান ১৪৪৬

শিরোনাম

Scroll
একুশে ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতিকে শহিদ মিনারে না আসার আহ্বান
Scroll
ইঞ্জিন সংকটে কনটেইনারবাহী ট্রেন চলাচলে অচলাবস্থা, বিপাকে চট্টগ্রাম বন্দর
Scroll
ইউক্রেনে ন্যাটোর সেনাদের মেনে নেবে না রাশিয়া
Scroll
‘গঙ্গা পানি চুক্তি’ নবায়ন আলোচনায় মার্চে ভারত যাচ্ছে কারিগরি দল
Scroll
দিল্লিতে চলছে বিজিবি-বিএসএফের ৩ দিনের সম্মেলন
Scroll
কুয়েটে ৫ দফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা
Scroll
দেশের বাজারে জুতার নতুন ব্র্যান্ড আনছে টি কে গ্রুপ
Scroll
এ অভ্যুত্থান সবার, সবাইকে নিয়ে এগোতে হবে: মাহফুজ আলম
Scroll
অবশেষে ইউক্রেন যুদ্ধের সমাপ্তি টানতে সম্মত রাশিয়া
Scroll
কুয়েটে হামলা: ঢাবিতে বৈষম্যবিরোধী ও ছাত্রদলের আলাদাভাবে বিক্ষোভ
Scroll
নাইকো দুর্নীতি মামলার রায় আজ

সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের নামে প্রথম মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২:৫১, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫ | আপডেট: ১৫:৫২, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫

সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের নামে প্রথম মামলা

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলার ঘটনায় সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও তার দুই ছেলে রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক এবং রাসেল আহাম্মদ তুহিনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। একই সঙ্গে মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং মেয়ে সায়মা ওয়াজেদেরও নাম রয়েছে। এ মামলায় আসামি করা হয়েছে ১২৪ জনকে।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বিকেলে কিশোরগঞ্জ থানায় মামলাটি করেন তহমুল ইসলাম মাজহারুল নামে এক যুবক। এই যুবক জানান, তিনি বিএনপির কর্মী। আন্দোলনের সময় আহত হয়েছিলেন। দীর্ঘদিন চিকিৎসা নেওয়ার পর এখন কিছুটা সুস্থ হওয়ায় মামলা করেন।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ৫ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত কিশোরগঞ্জ সদর থানায় ১১টি মামলাসহ জেলায় প্রায় অর্ধশত মামলা হয়েছে। এসব মামলায় প্রায় চার হাজার জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১০ হাজারের বেশি লোককে আসামি করা হয়েছে। এই প্রথম কোনো মামলায় সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদকে আসামি করা হলো। মামলায় আবদুল হামিদ ৩ নম্বর আসামি। ১ নম্বর আসামি করা হয়েছে শেখ হাসিনাকে; ২ নম্বরে আছেন শেখ রেহানা। আবদুল হামিদের নামের বানান আঃ হামিদ (৮০) লেখা হয়েছে। পিতার নাম মো. তায়েব উদ্দিন ও সাং জেলার মিঠামইনের কামালপুর উল্লেখ করা হয়েছে। মামলায় আরও ২০০ থেকে ২৫০ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে দেশ-বিদেশে অবস্থান করা ১ নম্বর থেকে ২০ নম্বর আসামিরা সারাদেশে গণহত্যার পরিকল্পনা করেন। সেই মোতাবেক তারা কিশোরগঞ্জে যাতে কোনো আন্দোলন হতে না পারে, সে জন্য ২১-৪০ নম্বর আসামিদের নির্দেশ দেন। ওই নির্দেশ বাস্তবায়নের জন্য ৪১-১২৪ নম্বর আসামিরা শটগান, বন্দুক, পিস্তল, ককটেল, বোমা ও দেশীয় অস্ত্র এবং অর্থ সরবরাহ করে আন্দোলন দমাতে গণহত্যার নির্দেশ দেন। গত বছরের ৪ আগস্ট দুপুর ১২টার দিকে জেলা শহরের স্টেশন রোড এলাকায় ছাত্র–জনতার মিছিলে হামলা চালান আসামিরা। তারা গুলি চালিয়ে মামলার বাদীসহ সাক্ষীদের আহত করেন। এছাড়া গ্রেনেড, ককটেল ও বোমা নিক্ষেপ করে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করেন।

কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মামুন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘মামলাটি তদন্ত করে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

আরও পড়ুন