শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২০:০৮, ১৯ জুলাই ২০২৫
ছবি: ঢাকা এক্সপ্রেস
আজ শনিবার (১৯ জুলাই) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দলটির জাতীয় সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
শফিকুর রহমান বলেন, ‘আসুন যাদের ত্যাগের বিনিময়ে এই স্বাধীনতা পাওয়া, তাদের যাতে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য না করে। শিশু রাজনীতিবিদ বলে যাতে অবজ্ঞা না করে। অন্য কোনো দলকে অবজ্ঞা যাতে না করে। অরাজনৈতিক ভাষায় যাতে কথা না বলে। যারা পারবে না, তাহলে বুঝব তাদের মনে ফ্যাসিবাদ ভর করেছে। জাতীয় ঐক্যের বীজতলা আমরা তৈরি করব।’
তিনি বলেছেন, ‘আগামীর বাংলাদেশে আরেকটা লড়াই হবে। একটি লড়াই হয়েছে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে, আরেকটি হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে। এই দুর্নীতির মূলোৎপাটনের জন্য আমরা যা দরকার করব। এতেও আমরাই বিজয়ী হব।’
বক্তব্যের একপর্যায়ে হঠাৎ দুই বার অসুস্থ হয়ে পড়েন জামায়াত আমীর। প্রথমে জ্ঞান হারানোর কিছুক্ষণ পর আবারও দাঁড়িয়ে বক্তব্য শুরু করেন তিনি। তবে কিছুক্ষণ পরেই আবারও অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে মঞ্চের কার্পেটে বসে আবার বক্তব্য শুরু করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আল্লাহ যতদিন হায়াত দিয়েছেন জনগণের জন্য লড়াই অব্যাহত থাকবে। আল্লাহ আমাদের যদি সূযোগ দেয় তাহলে মালিক হব না, সেবক হব।’
জামায়াত আমির আরো বলেন, ‘আমরা নির্দেশনা দিচ্ছি জামায়াত থেকে আগামীতে যারা সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হবেন, তারা কোনো এমপি-মন্ত্রী সরকারি উপহার গ্রহণ করবে না। তারা ট্যাক্সবিহীন গাড়িতে চড়বেন না। নিজ হাতে টাকা চালাচালি করবেন না।’
তিনি বলেন, ‘যদি নির্দিষ্ট কোনো কাজের জন্য বরাদ্দ পায় তাহলে বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের কাছে তার বিবরণ তুল ধরতে বাধ্য হবে। চাঁদা আমরা নিব না, দুর্নীতি আমরা করব না। চাঁদা নিতে দিব না, দূর্নীতি আমরা সহ্য করব না।’
জামায়াত আমির বলেন, ‘আমার দুর্ভাগ্য আমি গেল আন্দোলনে শহীদ হতে পারি নাই। আপনাদের দোয়া চাই, ইনসাফের পক্ষে যে লড়াই হবে আগামীতে যে আন্দোলন হবে আল্লাহ যেন সেখানে আমাকে শহীদ হিসেবে কবুল করেন।’
তিনি বলেন, এখন থেকে বাংলাদেশে পুরোনো কোনো কিছুই থাকবে না। পুরোনো এই বস্তা পচা জিনিস যদি এই দেশে থাকে তাহলে কেন এত লোক জীবন দিল। নতুন পদ্ধতিতে বাংলাদেশ চলবে। এ ছাড়া এদেশ চলবে না।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ইউকে