শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৮:৪৬, ২২ জুলাই ২০২৫
ছবি: ঢাকা এক্সপ্রেস
মুঙ্গলবার (২২ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ শ্রমিক মুক্তিজোটের আয়োজনে ‘বিমান দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ ও মানববন্ধন’ প্রাসঙ্গিক সভায় তিনি দাবি করেন, সরকারকে দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে, নিহতদের সঠিক নাম ও তথ্য প্রকাশ করে নিহত প্রতিটি শিক্ষার্থীর পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে, আহতদের যথাযথ চিকিৎসার সব ধরনের সহায়তা সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে এবং বিমানবাহিনীর ব্যবহৃত ঝুঁকিপূর্ণ ও পুরনো প্লেনগুলো বাতিল করে আধুনিক প্লেন চালু করতে হবে।
এই দুর্ঘটনা আমাদের স্মরণকালের ইতিহাসে অন্যতম দুঃখজনক ও ভয়াবহ দুর্ঘটনা উল্লেখ করে তিনি প্রশ্ন তোলেন বসতিপূর্ণ এলাকায় এমন বিমান চলাচল বা প্রশিক্ষণের যৌক্তিকতা কি? বিমানবন্দর এখন জনবসতিপূর্ণ এলাকার মাঝে আটকে পড়েছে যা নিরাপত্তার জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এক্ষেত্রে সরকারের কাছে আমাদের আহ্বান থাকবে ঢাকাতে সকল ধরণের বিমানের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম বন্ধ করে তা সিলেট, চট্টগ্রাম বা দিনাজপুরে করা হোক। কারণ এ সকল বিমান বন্দরগুলো বসতিপূর্ণ এলাকার বাইবে। প্রয়োজনে বসতিপূর্ণ এলাকার বাইরে সুমদ্র বা নদীর চরে বিমান বন্দর করে সেখানে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করারও দাবি করেন তিনি।
রাজধানীর দিয়াবাড়ি এলাকায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর এফ-৭ বিজেআই প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ৩১ জন নিহত ও ১৬৫ জন আহত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। দুর্ঘটনায় নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে, নিহত ও আহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করে তিনি বলেন, আহতদের দ্রুত চিকিৎসায় সংশ্লিষ্ট হাসপাতালসহ সব কর্তৃপক্ষকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে।
বাংলাদেশ শ্রমিক মুক্তিজোটের আহ্বায়ক মোঃ রাশেদুল ইসলাম খোকনের সভাপতিত্বে যুব মুক্তিজোটের আহ্বায়ক মোঃ আব্দুল আওয়াল, শ্রমিক মুক্তিজোটের উপদেষ্টা মোঃ ইমন বারিক এবং ইঞ্জিনিয়ার হাবিবসহ মহানগরের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ইউকে