শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৭:১০, ১০ জুন ২০২৫
দুই পক্ষের সম্মতিতেই আয়োজিত এই ‘ওয়ান টু ওয়ান’ বৈঠকের প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল অন্তত এক সপ্তাহ আগে। বিএনপির একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, দুজন অরাজনৈতিক ব্যক্তির মধ্যস্থতায় বৈঠকের আয়োজন সম্ভব হয়েছে—যাঁদের একজন বাংলাদেশে, অন্যজন লন্ডনে অবস্থান করছেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্য জানিয়েছেন, বৈঠকের সময় নির্ধারণ, আলোচনার কাঠামো ও অংশগ্রহণ নিয়ে দলের শীর্ষ পর্যায়ে কয়েক দফা বৈঠক হয়েছে। ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির সর্বশেষ বৈঠকে তারেক রহমান নিজেই এই আলোচনার বিষয়ে ব্যাখ্যা দেন এবং নেতাদের মতামত গ্রহণ করেন। বৈঠকে ইতিবাচক সাড়া মিলেছে বলেই দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তিনি বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন।
তথ্য অনুযায়ী, প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকেই তারেক রহমানকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, যা বিএনপির পক্ষ থেকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হয়েছে। নেতাদের মতে, এই ‘ওয়ান টু ওয়ান’ আলোচনায় উঠে আসতে পারে আগামী জাতীয় নির্বাচনের রূপরেখা, দেশে রাজনৈতিক সমঝোতার সম্ভাবনা, কৌশলগত অবস্থান এবং তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়টিও।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মঙ্গলবার গুলশানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, "আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, বর্তমানে যে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বা অবস্থান, তাতে এটা একটা বড় ইভেন্ট। গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট। এটার গুরুত্ব অনেক বেশি। অনেক সুযোগ তৈরি হতে পারে এ বৈঠকে।"
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকের বিষয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াও অবগত রয়েছেন এবং নেতাদের মধ্যে কেউ কেউ মনে করছেন, এটি বর্তমান রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনে একটি কার্যকর উদ্যোগ হয়ে উঠতে পারে।
অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক আলোচনার জন্য এমন উন্মুক্ততা এবং বিএনপির নেতৃত্বের সরাসরি অংশগ্রহণ—দুটিই সাম্প্রতিক সময়ে বিরল দৃশ্য। বিশেষ করে দেশে ও আন্তর্জাতিক পরিসরে রাজনৈতিক চাপ ও জটিলতা যখন তুঙ্গে, তখন এই বৈঠক নতুন দিগন্ত উন্মোচনের বার্তা দিতে পারে বলে মত বিশ্লেষকদের।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ এমআরএইচ