শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৯:২৪, ১ জানুয়ারি ২০২৫ | আপডেট: ১৯:৩৬, ১ জানুয়ারি ২০২৫
জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ও নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম
জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সহায়তা পেলেন ২২২৯ জন। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আহত ও শহিদ হওয়া ২ হাজার ২২৯ পরিবারকে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করেছে জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন।
বুধবার (১ জানুয়ারি) রাজধানীর শাহবাগে ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ও নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম এ তথ্য জানান।
গেল বছরের ২১ ডিসেম্বর জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে নিহত ও আহত ব্যক্তিদের প্রথম ধাপের খসড়া তালিকা প্রকাশ করেছে গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেল। অভিযোগ আছে, এ তালিকায় অনেকেরই নাম বাদ পড়েছে।
তালিকায় তথ্য প্রদান ও ভেরিফিকেশনের জন্য শহিদের ক্ষেত্রে ওই ব্যক্তির মৃত্যুসনদ বা প্রত্যয়ন পত্র, শহিদ ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্র কিংবা জন্ম সনদের ফটোকপি এবং নমিনির জাতীয় পরিচয়পত্র কিংবা জন্ম সনদের ফটোকপি দিতে হবে।
এছাড়া আহত ব্যক্তির ক্ষেত্রে জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন থেকে একটি ফরম পূরণ করে যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন সে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের চিকিৎসকের স্বাক্ষর এবং সিলমোহর দিয়ে কাগজটি সত্যায়িত করতে হবে। এছাড়া সেই হাসপাতালে ভর্তির ফরম কিংবা ছাড়পত্র প্রয়োজন হবে যেখানেও সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক সত্যায়িত করবে। এবং নমিনির জাতীয় পরিচয় পত্র কিংবা জন্ম সনদের ফটোকপি লাগবে।
সেই সঙ্গে আহত ও শহিদ ব্যক্তি বিবাহিত হলে বাবা-মা ও স্ত্রী তিনজনেরই জাতীয় পরিচয় পত্র কিংবা জন্ম সনদের ফটোকপি প্রয়োজন হবে। অন্যদিকে অবিবাহিত হলে বাবা-মার মধ্যে যেকোনো একজনেরটি হলেই চলবে।
সারজিস বলেন, ‘স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম বা এমআইএস শাখার ভেরিফায়েড তালিকা অনুযায়ী আমরা ১৯৮ জন শহিদ পরিবারে কাছে পৌঁছানো বাকি রয়েছে। আজকে এমআইএসে দেখলাম ১১ হাজার ৩০৬ জন আহতদের তথ্য ভেরিফায়েড হয়েছে, এর মধ্যে আমরা ১ হাজার ৬০১ জনের কাছে পৌঁছেছি। এই সংখ্যা দুটোর পেছনে দূরত্ব থাকার একটিই কারণ হচ্ছে এমআইএস এখনও সংশোধিত তালিকা প্রকাশ করে যাচ্ছে। কয়েকমাস আগেই এই সংখ্যা ছিল ২৪ হাজারের মতো, তারা এখনও বিভিন্ন মাধ্যমে ক্রস চেক করছেন। যার ফলে আমরা সেটিকে স্ট্যান্ডার্ড হিসেবে ধরতে পারছি না। যদি ধরতে পারতাম, আমরা চাইলেই ১১ দিনে এই ১১ হাজার আহতদের তাদের ফান্ড দিয়ে দিতে পারতাম।’
এমআইএস ও ফাউন্ডেশনে যাদের ভেরিফায়েড তথ্য রয়েছে তারা ইতোমধ্যে সহায়তা পেয়েছে উল্লেখ করে সারজিস বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা যাদের সহায়তা দিয়েছি, তাদের নাম এমআইএসে এবং জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের কাছে ফাইল রয়েছে। এই দুই প্যারামিটার যখন পূরণ হয়েছে তখন আমরা তাদের সহায়তা দিয়ে দিয়েছি। এমআইএসকে আমরা বলছি, তারা যেন তালিকাটি গেজেট আকারে প্রকাশ করেন। তাহলে আমরা সেটিকে স্ট্যান্ডার্ড ধরে সহায়তা করতে পারব। এই তালিকা যেন প্রশ্নবিদ্ধ না হয় সেজন্য তথ্য ভেরিফায়েড করতে বিলম্ব হওয়াতে সহায়তা পৌঁছাতেও দেরি হচ্ছে।’
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেন, ‘ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আহতরা ১ লাখ এবং শহিদ পরিবার ৫ লাখ টাকার আর্থিক সহযোগিতা পাচ্ছেন। ফাউন্ডেশনের এখন পর্যন্ত ১০৯ কোটি ২০ লাখ ৫ টাকা অনুদান জমা হয়েছে। এর মধ্যে ৪৭ কোটি ৩২ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। ফান্ডে ৬১ কোটি টাকা অবশিষ্ট রয়েছে।’