শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৫:১৬, ১০ জুন ২০২৫
মঙ্গলবার (১০ জুন) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এটি শুধু একটি বৈঠক নয়, বরং বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকট নিরসনে এটি একটি বড় ঘটনা হতে যাচ্ছে। এটি নতুন এক ‘ডাইমেনশন’ সৃষ্টি করতে পারে।’
বিএনপি মহাসচিব জানান, প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস নিজেই তারেক রহমানকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন এবং বৈঠকটি তার অবস্থানরত হোটেলেই অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপির স্ট্যান্ডিং কমিটির পক্ষ থেকেও এ উদ্যোগকে স্বাগত জানানো হয়েছে।
‘আমরা আশাবাদী, এই বৈঠকের মাধ্যমে রাজনৈতিক সংকট কাটিয়ে উঠার ক্ষেত্রে একটি পজিটিভ ধাপ শুরু হবে। ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, সাম্প্রতিককালের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় পরিবর্তনের সুযোগ এনে দিতে পারে,’— বলেন মির্জা ফখরুল।
তিনি আরও জানান, দলের পক্ষ থেকে তারেক রহমানকে পূর্ণ কর্তৃত্ব দেওয়া হয়েছে এবং তার সাফল্য কামনা করা হয়েছে। ‘এ বৈঠক যদি হয়, তাহলে অনেক সমস্যার সহজ সমাধান দেখা যেতে পারে। এখন সব নির্ভর করছে এই দুই নেতার উপর— তারা কীভাবে সম্ভাবনাগুলো কাজে লাগান’—যোগ করেন তিনি।
জানা গেছে, ১৩ জুন শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত বৈঠকের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে বিএনপির উচ্চপর্যায়ে আগে থেকেই আলোচনা চলছিল বলে জানান ফখরুল।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার ও বিএনপির অবস্থান বর্তমানে দুই মেরুতে। অন্তর্বর্তী সরকার আগামী বছরের এপ্রিলের প্রথমার্ধে নির্বাচনের ঘোষণা দিলেও বিএনপি শুরু থেকেই ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দাবি করে আসছে। এই প্রেক্ষাপটে লন্ডনের আসন্ন বৈঠকে নির্বাচনকালীন সরকার কাঠামো, ভোটের সময়সূচি ও কৌশলগত দিকনির্দেশনা নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ফখরুল বলেন, ‘আমি এই বৈঠকটিকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একটি মেজর পলিটিকাল ইভেন্ট হিসেবে দেখছি। এটি সময়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ঘটনা হয়ে উঠতে পারে।’
ঢাকা এক্সপ্রেস/ এমআরএইচ