ঢাকা, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫

৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১৯ জ্বিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম

Scroll
সালমান রুশদির ওপর হামলাকারী তরুণকে ২৫ বছরের কারাদণ্ড
Scroll
ক্ষুদ্রঋণের মডেল অনুসরণে ‘ক্ষুদ্রঋণ ব্যাংক’ গঠনের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের
Scroll
মাগুরার শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় তার বোনের শ্বশুর হিটু শেখের মৃত্যুদণ্ড
Scroll
চার দশক পর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের প্রেসিডেন্ট পদে লড়বে বাংলাদেশ
Scroll
রাজধানী আফতাবনগরে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, এক পরিবারের দগ্ধ ৫
Scroll
অভ্যুত্থানের নয় মাস গেলেও বড় পরিবর্তন সহজ হচ্ছে না: দ্য ইকোনমিস্টের প্রতিবেদন
Scroll
দেশের ১২ জেলায় মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, আগামী কয়েক দিনে কিছু এলাকায় প্রশমিত হবে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
Scroll
অবৈধ ভারতীয়দের নিয়ম মেনে ফেরত পাঠানো হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
Scroll
খুলনার ডুমুরিয়ায় মাহিন্দ্রা ও তেলবাহী ট্যাংকলরির মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণ গেছে তিনজনের
Scroll
ইসরায়েলের হামলায় আরো ১১৫ ফিলিস্তিনি নিহত, আহত শতাধিক
Scroll
পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) খেলতে পাকিস্তানে পা রাখলেন সাকিব আল হাসান

‘রাজা’র ওজন ২০ মণ, দাম ৮ লাখ টাকা

রাজবাড়ী প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১১:৩৯, ১৭ মে ২০২৫ | আপডেট: ১৩:৪৫, ১৭ মে ২০২৫

‘রাজা’র ওজন ২০ মণ, দাম ৮ লাখ টাকা

ছবি: সংগৃহীত

রাজবাড়ী জেলায় কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে প্রায় ২০ মণ ওজনের শাহীওয়াল জাতের একটি বড় ষাঁড় গরুকে। লাল রঙের এই সুঠামদেহী ষাঁড়টির নাম রাখা হয়েছে ‘রাজবাড়ীর রাজা’। ষাঁড়টির মালিক সুবাস শিকদার চার বছর ধরে সন্তানের মতো করে এই পশুটি লালন-পালন করছেন। এই গরুটির দাম হাঁকা হচ্ছে আট লাখ টাকা।

রাজবাড়ী সদর উপজেলার বানিবহ ইউনিয়নের লক্ষ্মনারায়ণপুর গ্রামের বাসিন্দা ৬১ বছর বয়সী সুবাস শিকদার জানান, রাজাকে তিনি নিজের সন্তানের মতো ভালোবেসে বড় করেছেন। ষাঁড়টি এখন ছয় দাঁতের এবং ওজনে প্রায় ২০ মণ (প্রায় ৮০০ কেজি)। উচ্চতায় ছয় ফুট, লম্বায় প্রায় সাত ফুট এবং বুকের মাপ সাড়ে ছয় ফুট। রাজার মতো দেহবল্লব এই গরু এলাকার মানুষের দৃষ্টি কাড়ছে প্রতিনিয়ত।

ছোট্ট একটি গোয়াল ঘরে শান্তভাবে বসবাস করছে রাজা। দিনের বেশিরভাগ সময় সে ওই ঘরেই কাটায়। ঘরের ভেতর আলো কম থাকায় ২৪ ঘণ্টাই চালু রাখা হয় ফ্যান ও লাইট। রাজার যত্নে কোনো কমতি নেই। প্রতিদিন তার জন্য সরবরাহ করা হয় কাঁচা ঘাস, শুকনো খড়, ভুট্টা, খেসারি ও জবের সংমিশ্রণে তৈরি ভূষি। গরমের কারণে দিনে দুই থেকে তিনবার তাকে সাবান ও শ্যাম্পু দিয়ে গোসল করানো হয়।

সুবাস শিকদার জানান, শহরের হাট-বাজারে বড় গরু তুলতে না পারার কারণে তিনি চান একজন ভালো খরিদ্দার বাড়িতে এসে রাজাকে দেখে দাম দর করে নিয়ে যাক। তিনি বলেন, আমরা গ্রামের মানুষ। এত বড় গরু হাটে নেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়। তবে ভালো ক্রেতা পেলে দরদাম করে বাড়ি থেকেই বিক্রি করে দেব।

সুবাস শিকদারের ছেলে প্রশান্ত শিকদার বলেন, আমার বাবা অনেক কষ্ট করে রাজাকে লালন-পালন করেছেন। পরিবারের সবাই এ কাজে সহায়তা করেছি। বহু খরচ হয়েছে। আমরা চাই গরুটির ভালো দাম উঠুক, সাড়ে আট লাখ টাকা হলে আমরা খুশি হব।

গরুটি দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছেন আশপাশের এলাকার উৎসুক মানুষ। স্থানীয় বাসিন্দা সুজন বিষ্ণু বলেন, এটা আমার দেখা এ বছরের সবচেয়ে বড় গরু। নামের মতোই দেখতেও একেবারে রাজা।

রাজবাড়ী জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর জেলার কোরবানিযোগ্য গবাদিপশুর সংখ্যা ৪৭ হাজার ৯৬৩টি, যার মধ্যে গরু রয়েছে ২৪ হাজার ২৬০টি। জেলায় পশুর চাহিদা ৪১ হাজার ৬০১টি, ফলে প্রায় ছয় হাজার ৩৬২টি পশু উদ্বৃত্ত থাকবে।

সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. ওমর ফারুক বলেন, শাহীওয়াল জাতের গরু সাধারণত আকারে বড় হয়। তবে এত বছর ধরে এত যত্নে বড় করা সচরাচর দেখা যায় না। গরুটি যাতে কোনো ক্ষতিকর উপাদান বা স্টেরয়েড ছাড়া লালন-পালন হয়, সেজন্য আমরা নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।

রাজবাড়ীর রাজা এখন যেন পুরো জেলার এক বিশেষ আকর্ষণ। সুবাস শিকদারের একান্ত প্রচেষ্টায় গরুটি ঈদের বাজারে নিজের অবস্থান জানান দিবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

ঢাকা এক্সপ্রেস/আরইউ

আরও পড়ুন