ঢাকা, মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫

১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ০৬ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৬

২ নম্বর ইট দিয়ে রাস্তা সংস্কারের অভিযোগ 

ফরিদপুর প্রতিনিধি 

প্রকাশ: ১৯:২৬, ১ জুন ২০২৫

২ নম্বর ইট দিয়ে রাস্তা সংস্কারের অভিযোগ 

নিম্নমানের ইট ও নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে চলছে সড়ক সংস্কারের কাজ। ছবি: ঢাকা এক্সপ্রেস 

ফরিদপুরে ২ নম্বর ইট দিয়ে রাস্তা সংস্কারের অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। ফরিদপুর সদর উপজেলার ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের দূর্গাপুর কাচারিটেক সংলগ্ন বেরিবাঁধ বাজার ব্রিজ থেকে চরমাধবদিয়া ইউনিয়নের বালুধুম গোরস্থান পর্যন্ত সড়কের সংস্কার কাজে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যাবহারের অভিযোগ করছেন এলাকাবাসী। 

স্থানীয় বাসিন্দা লিয়াকত শেখ বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে এই সড়কটি খাদা-খন্দ অবস্থায়। এখন সংস্কার কাজ শুরু হলেও যে নিম্নমানের বা ২ নম্বর ইট দিয়ে কাজ করা হচ্ছে তা খুবই দুঃখজনক। নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের কারণেই আমাদের সড়কগুলো সংস্কারের কিছুদিনের মধ্যেই ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পরে।’ 

বাকা শেখ নামের আরেকজন বলেন, ‘রাস্তায় যে ইট ব্যবহার করা হচ্ছে তার মধ্যে কিছু ইট ২ নম্বরের মধ্যেও ২ নম্বর।’ 

স্থানীয় আরেক বাসিন্দা মো: জহুরুল ইসলাম শেখ বলেন, ‘এই রাস্তায় ব্যবহৃত ইটের মান ৩ নম্বরও বলা যায়, এতে রাস্তার মান ভালো হবে না। কিছুদিন পরেই আগের মতোই রাস্তা নষ্ট হয়ে যাবে।’ স্থানীয় আরেক বাসিন্দা ইদ্রিস বেপারীও একই কথা বলেন। 

সড়কের সংস্কার কাজে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের বিষয়ে আক্ষেপ করে মমিন খার হাট সংলগ্ন হাজী আবুল হোসেন কলেজের অধ্যক্ষ ফয়সাল ইবনে মোস্তফা বলেন, ‘বিষয়টি খুবই কষ্টের, কয়েক বছর ধরে সড়কটি খাদা-খন্দে বরে গেছে, এখন নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের ফলে সড়কটি টেকসই হবে না। এতে চলতি বর্ষা মৌসুমেই সড়কটি আবার ক্ষতিগ্রস্থ হবে। ফলে এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কে চলাচলকারীদের ভোগান্তি শেষ হবে না।’ 

দুই কি.মি. ৫ শ’ মিটারের এই সড়ক সংস্কারের দায়িত্ব পেয়েছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আয়ান কনস্ট্রাকশন। সড়ক সংস্কার কাজে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ অস্বীকার করে প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার রুবেল খান বলেন, ‘স্থানীয়রা যে অভিযোগ করেছেন তা সঠিক নয়। আমরা ১ নম্বর ইট দিয়ে কাজ করছি। আমরা নিয়ম অনুযায়ী কাজ করছি।’ 

এ বিষয়ে ফরিদপুর সদর উপজেলা প্রকৌশলী দেবাশীষ বাকচী বলেন, ‘সড়কের সংস্কার কাজে নিম্নমানের বা মানহীন নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের কোনো সুযোগ নেই। আমি যতো দ্রুত সম্ভব বিষয়টি দেখবো। শতভাগ মাসম্পন্ন অর্থাৎ, ১ নস্বর নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করে কাজটি সম্পন্ন করা হবে, আমি তার নিশ্চয়তা দিচ্ছি। তবে এই সড়কের সংস্কার কাজে বাজেট কতো টাকা তা তিনি জানাতে পারেননি। 

ঢাকা এক্সপ্রেস/এনএ 

আরও পড়ুন