শিরোনাম
মাগুরা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৪:২৯, ১৭ মে ২০২৫ | আপডেট: ১৪:৩০, ১৭ মে ২০২৫
ছবি: সংগৃহীত
শনিবার (১৭ মে) মাগুরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিচারক এম জাহিদ হাসান এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পর আদালত প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন শিশুটির মা।
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি এই রায়ে খুশি নই। তারা সবাই শাস্তি পাওয়ার যোগ্য ছিল। কারণ তারা হত্যাকাণ্ডে সহায়তা করেছে, তথ্য গোপন করেছে। আজ তারা ছাড়া পেয়ে গেল, কাল তারা অন্য কারো সঙ্গে এমনটি করতেও পারে।’
তিনি বলেন, ‘আমি সন্তুষ্ট না। আমি চাই সবাই শাস্তি পাক।’ কথা বলার একপর্যায়ে তিনি আদালত প্রাঙ্গণ ত্যাগ করেন।
এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি মনিরুল ইসলাম মুকুল জানান, হিটুর বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যা, রাতুল ও সজিবের বিরুদ্ধে ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং জাহেদার বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ নষ্ট করার অভিযোগ আনা হয়েছিল। তবে আদালত পর্যাপ্ত প্রমাণের অভাবে তিনজনকে খালাস দেন।
গত ৬ মার্চ বোনের বাসায় বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয় সে। পরে অসুস্থ শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নেওয়া হলে ১৩ মার্চ সেখানে তার মৃত্যু হয়।
গত ৮ মার্চ শিশুটির মা মাগুরা সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন।
মামলার তদন্তে দায়িত্বে ছিলেন মাগুরা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আলাউদ্দিন। তিনি ১৩ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর ১৭ এপ্রিল মামলাটি চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয় এবং ২০ এপ্রিল অভিযোগপত্র গ্রহণ করা হয়। বিচার শুরু হয় ২৩ এপ্রিল।
গত ১৫ মার্চ অভিযুক্ত হিটু শেখ ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। ঘটনার ৭৩ দিনের মাথায় আজ শনিবার রায় ঘোষণার মাধ্যমে মামলার বিচারিক প্রক্রিয়া শেষ হলো।
ঢাকা এক্সপ্রেস/আরইউ