শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০৬, ১৭ মে ২০২৫ | আপডেট: ১১:২১, ১৭ মে ২০২৫
ছবি: সংগৃহীত
শনিবার (১৭ মে) সকাল সাড়ে ৯টায় মাগুরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসান এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত বিশেষ কৌঁসুলি এহসানুল হক সমাজী।
মাত্র ২১ কার্যদিবসে বিচার প্রক্রিয়া শেষ হওয়ায় এটি দেশের দ্রুততম সময়ে নিষ্পত্তি হওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ মামলার দৃষ্টান্ত বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয় ২৭ এপ্রিল। ছুটির দিন বাদ দিয়ে ধারাবাহিকভাবে শুনানি অনুষ্ঠিত হয় এবং আসামিরা সব সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
হিটু শেখের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(২) ধারায় (ধর্ষণের ফলে মৃত্যু) অভিযোগ গঠন করা হয়। অন্যদিকে, শিশুটির বোনের স্বামী ও ভাশুরের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৫০৬ ধারায় (ভয়ভীতি প্রদর্শন) এবং শাশুড়ির বিরুদ্ধে ২০১ ধারায় (অপরাধের আলামত নষ্ট) অভিযোগ আনা হয়।
ঘটনাটি ঘটে গত ৬ মার্চ। বড় বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়ে শিশুটি গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নেওয়া হলে ১৩ মার্চ সেখানে তার মৃত্যু হয়।
এর আগে, ৮ মার্চ শিশুটির মা মাগুরা সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন।
মামলার তদন্তে দায়িত্বে ছিলেন মাগুরা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আলাউদ্দিন। তিনি ১৩ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর ১৭ এপ্রিল মামলাটি চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয় এবং ২০ এপ্রিল অভিযোগপত্র গ্রহণ করা হয়। বিচার শুরু হয় ২৩ এপ্রিল।
উল্লেখ্য, ১৫ মার্চ অভিযুক্ত হিটু শেখ ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। ঘটনার ৭৩ দিনের মাথায় আজ শনিবার রায় ঘোষণার মাধ্যমে মামলার বিচারিক প্রক্রিয়া শেষ হলো।
ঢাকা এক্সপ্রেস/আরইউ