শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৮:২৩, ১ জুন ২০২৫
সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এজেডএম হাসানুর রহমান জানান, ‘এই তিন মাস হলো মাছ ও বন্য প্রাণীর প্রজননের মৌসুম। নদী-খালের মাছ ডিম ছাড়ে এবং গাছপালার প্রাকৃতিক পুনর্জন্ম ঘটে। তাই বন ও প্রাণবৈচিত্র্য সুরক্ষায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
এই সময় সাধারণ জেলে, বাওয়ালি ও পর্যটকদের সুন্দরবনে প্রবেশও সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ থাকবে। পরবর্তী নির্দেশনা অনুযায়ী ১ সেপ্টেম্বর থেকে সুন্দরবনে আবারও প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে।
বন বিভাগের পক্ষ থেকে খুলনা অঞ্চলের প্রায় ১২ হাজার জেলের তালিকা মৎস্য বিভাগে পাঠানো হয়েছে, যাতে তারা সরকারি সহায়তা পান। খুলনা জেলার মৎস্য কর্মকর্তা মো. বদরুজ্জামান জানান, “সমুদ্রগামী জেলেদের মতো সুন্দরবন-নির্ভর জেলেরাও সহায়তার অধিকার রাখে। আমরা সরকারকে এই বিষয়ে জানিয়েছি।”
প্রতি বছর এই নিষেধাজ্ঞার সময় কিছু প্রভাবশালী চক্রের দখলে চলে যায় বনাঞ্চলের অভয়াশ্রম এলাকা। বনজীবীরা অভিযোগ করেছেন, এই সময় তারা বিষ প্রয়োগ করে মাছ শিকার করে এবং ভেতরে মাচা তৈরি করে সেগুলো শুকিয়ে বাজারজাত করে। কিছু অসাধু বনরক্ষীও তাদের সহযোগিতা করে বলে অভিযোগ রয়েছে।
তবে বন বিভাগ ও অন্যান্য সরকারি সংস্থাগুলো বলছে, নিষিদ্ধ সময়ে বিষ দিয়ে মাছ ধরা বন্ধে এবার কঠোর নজরদারি ও অভিযান পরিচালনা করা হবে।
২০১৯ সাল থেকে “ইন্টিগ্রেটেড রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান (আইআরএমপি)” অনুসারে সুন্দরবনের নদী ও খালে প্রতিবছর ১ জুলাই থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত মাছ ধরা নিষিদ্ধ ছিল। তবে ২০২১ সাল থেকে মৎস্য বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে এই সময়সীমা এক মাস বাড়িয়ে ১ জুন থেকে কার্যকর করা হয়।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ এমআরএইচ