ঢাকা, মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫

১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ০৬ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৬

নারীকে লাথি মারা বহিস্কৃত জামায়াত নেতা গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৮:৩৭, ১ জুন ২০২৫

নারীকে লাথি মারা বহিস্কৃত জামায়াত নেতা গ্রেপ্তার

চট্টগ্রামে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের কর্মসূচিতে এক নারীনেত্রীকে লাথি মারার ঘটনায় বহিষ্কৃত জামায়াত কর্মী আকাশ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (১ জুন) দুপুর আড়াইটার দিকে নগরীর লালদিঘীর পাড় এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আকাশ চৌধুরী চট্টগ্রামের সাতকানিয়া পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর নেচার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরীর ছেলে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল করিম বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আকাশ চৌধুরীকে লালদিঘীর পাড় এলাকা থেকে আটক করা হয়। তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আইনি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।’

ছাত্রজোটের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা

গত ২৮ মে, মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাসের প্রতিবাদে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে কর্মসূচি পালন করছিল গণতান্ত্রিক ছাত্রজোট। কর্মসূচি শুরু হওয়ার পরপরই সেখানে হাজির হয় ‘শাহবাগবিরোধী ঐক্য’ নামের একটি দল, যারা প্রতিবাদ কর্মসূচির বিরোধিতা করে।

উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে পড়ে। পুলিশের উপস্থিতিতেই শাহবাগবিরোধী ঐক্যের লোকজন ছাত্রজোটের কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় একাধিক নেতাকর্মী আহত হন, তাদের মধ্যে এক নারীনেত্রীকে আকাশ চৌধুরী লাথি মারেন বলে ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়।

জামায়াতের বিবৃতি ও আকাশের বহিষ্কার

ঘটনার পর ৩০ মে এক বিবৃতিতে আকাশ চৌধুরীকে নিজেদের কর্মী হিসেবে স্বীকার করে জামায়াতে ইসলামী তাকে দল থেকে বহিষ্কার করে। চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মোহাম্মদ উল্লাহর সই করা বিবৃতিতে বলা হয়, ‘২৮ মে সংঘটিত ঘটনার সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। এ ধরনের ঘৃণ্য ঘটনার আমরা তীব্র নিন্দা জানাই। আকাশ চৌধুরীকে দল থেকে বহিষ্কার করা হলো।’

মামলা ও পুলিশি ব্যবস্থা

ঘটনার রাতে পুলিশ বাদী হয়ে দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের করে। তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থল থেকে দুজনকে আটক করা হয় এবং তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। আকাশ চৌধুরী এই মামলার অন্যতম অভিযুক্ত ছিলেন, যাকে রোববার গ্রেফতার করা হলো।

ঢাকা এক্সপ্রেস/ এমআরএইচ

আরও পড়ুন