ঢাকা, রোববার, ০১ জুন ২০২৫

১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ০৪ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৬

আজ জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী

নিজস্ব প্রতিবেদক 

প্রকাশ: ১০:২৫, ৩০ মে ২০২৫ | আপডেট: ১৪:০৯, ৩০ মে ২০২৫

আজ জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী

ছবি: সংগৃহীত

আজ ৩০ মে, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী। ১৯৮১ সালের এই দিনে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে সেনাবাহিনীর কিছু বিপথগামী সদস্যের গুলিতে তিনি নিহত হন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল–বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা এই নেতা দেশের রাজনীতিতে এক প্রভাবশালী ও ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে বিবেচিত।

জিয়াউর রহমান ১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুড়ার গাবতলী উপজেলার বাগবাড়ী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মনসুর রহমান ছিলেন কলকাতায় সরকারি চাকরিতে নিযুক্ত। শৈশব ও কৈশোরের একটি সময় কলকাতায় কাটিয়ে দেশ ভাগের পর পরিবারের সঙ্গে করাচিতে চলে যান জিয়া। ১৯৫৩ সালে পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমিতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগ দিয়ে ১৯৫৫ সালে কমিশন লাভ করেন।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করে বিশ্ববাসীর নজর কাড়েন। মুক্তিযুদ্ধে তিনি সেক্টর কমান্ডার ও ‘জেড ফোর্স’-এর অধিনায়ক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তার বীরত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি ‘বীর উত্তম’ খেতাব লাভ করেন।

জিয়াউর রহমান ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সিপাহি-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে ক্ষমতার কেন্দ্রে উঠে আসেন। পরবর্তীতে তিনি রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠা করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। তার নেতৃত্বে বিএনপি তিনবার রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়।

জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনসমূহ ২৫ মে থেকে ২ জুন পর্যন্ত বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কর্মসূচির ঘোষণা দেন।

আজ সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে দলের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। একইসঙ্গে দেশের বিভিন্ন মসজিদে তার আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। ঈদুল আজহার কারণে এ বছর কর্মসূচি কিছুটা সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে।

দিবসটি উপলক্ষে এক বাণীতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, শহীদ জিয়ার মহান আদর্শ, দর্শন ও কর্মসূচি আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সুসংহতকরণ, বহুদলীয় গণতন্ত্র এবং উন্নয়ন ও অগ্রগতির রক্ষাকবচ। জাতীয় সংকট উত্তরণে শহীদ জিয়ার আদর্শই পথপ্রদর্শক।

তিনি জিয়াউর রহমানের অম্লান স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।

বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির পাশাপাশি সারাদেশে জেলা, উপজেলা, থানা ও পৌর ইউনিটগুলো নিজ নিজ এলাকায় আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও দুস্থদের মধ্যে খাদ্য ও বস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি পালন করছে।

দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় নয়াপল্টন, গুলশানের চেয়ারপারসনের কার্যালয়সহ সারাদেশের দলীয় কার্যালয়গুলোতে দুদিন ধরে দলীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে এবং কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। এ ছাড়া জিয়াউর রহমানের স্মরণে পোস্টার প্রকাশ এবং জাতীয় দৈনিকে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করেছে বিএনপি।

ঢাকা এক্সপ্রেস/আরইউ

আরও পড়ুন