নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৭:২১, ১৭ জুলাই ২০২৫
ছবি: সংগৃহীত
গত ৩ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ড. মো. কবির আহম্মদ তাকে ডেকে পদত্যাগের নির্দেশ দেন।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর কেন্দ্রীয় ব্যাংক ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করে। নতুন বোর্ডে চেয়ারম্যান করা হয় ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদকে; যিনি বিগত সরকারের আমলে সোনালী ও রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন। তার নিয়োগে বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন ডেপুটি গভর্নরের সুপারিশ ছিল।
চেয়ারম্যান হওয়ার পর ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদের বিরুদ্ধে একাধিক অনিয়মের অভিযোগ পায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ৩ জুলাই তাকে ডেকে পদত্যাগ করতে বলার পরও তিনি পদে থাকার জন্য বিভিন্ন মহলে লবিং শুরু করেন।
এরই মধ্যে মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) তার ও পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব তলব করে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। পরদিন বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) সংস্থাটি ইসলামী ব্যাংকে বিশেষ অভিযান চালায়। অভিযানে চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় তিনি কী ধরনের সুবিধা নিয়েছেন এবং কোনো বিদেশ সফরে ব্যাংকের খরচ নিয়েছেন কিনা— এসব বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
বিশেষভাবে আলোচিত, তিনি সম্প্রতি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদকে আনুষ্ঠানিকভাবে না জানিয়ে এক মাসের জন্য যুক্তরাষ্ট্র সফরে যান। কেবল মৌখিকভাবে জানান, তিনি একটি আন্তর্জাতিক ব্যাংকের সঙ্গে ক্রেডিট লাইন ইস্যুতে বৈঠকে যাচ্ছেন। তবে ব্যাংকিং বিধি অনুযায়ী, এ ধরনের বিষয় সাধারণত ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের আওতায় পড়ে এবং চেয়ারম্যানের এ ধরনের বৈঠকে অংশগ্রহণের সুযোগ সাধারণত থাকে না।
এদিকে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র পরিচালক জোবায়দুর রহমানকে বসানো হতে পারে বলে আলোচনায় রয়েছে। ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নজরদারির ফলে অবশেষে পদত্যাগ করলেন ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ। এটি ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনায় একটি বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত বলে মনে করছেন ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ইউকে