শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:২৬, ৯ জুলাই ২০২৫ | আপডেট: ১১:২৯, ৯ জুলাই ২০২৫
ছবি: সংগৃহীত
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) ‘ওয়ার্ল্ড ট্রেড স্ট্যাটিসটিকস: কি ইনসাইটস অ্যান্ড ট্রেন্ডস ইন ২০২৪’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। চলতি মাসে এটি নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।
গত বছর বাংলাদেশ ৩৮ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে। এর আগের বছরের তুলনায় শূন্য দশমিক ২১ শতাংশ বেশি।
এই রপ্তানিমূল্য বিশ্ব বাজারের ছয় দশমিক ৯০ শতাংশ। ২০২৪ সালে বিশ্ব বাজারে পোশাক বিক্রি হয় ৫৫৭ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার। এক বছর আগে বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির অংশ ছিল সাত দশমিক ৩৮ শতাংশ।
ডব্লিউটিওর তথ্য অনুসারে, ২০২৪ সালে চীন শীর্ষ পোশাক রপ্তানিকারক দেশ ছিল। বিশ্ব বাজারে এর অংশ ছিল ২৯ দশমিক ৬৪ শতাংশ। ২০২৪ সালে এই দেশ ১৬৫ দশমিক ২৪ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে। এটি আগের বছরের তুলনায় শূন্য দশমিক ৩০ শতাংশ বেশি।
২০২৩ সালে বৈশ্বিক পোশাক রপ্তানিতে চীনের অংশ ছিল ৩১ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
২০২৪ সালে ভিয়েতনাম তৃতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক দেশ হওয়া সত্ত্বেও চীন ও বাংলাদেশ তুলনায় এর রপ্তানি প্রবৃদ্ধি বেশি হয়েছে। ২০২৪ সালে দেশটি ৩৩ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছিল। এটি আগের বছরের তুলনায় নয় দশমিক ৩৪ শতাংশ বেশি।
ভিয়েতনামের পোশাক রপ্তানির হিসাব এক বছর আগের পাঁচ দশমিক ৯৬ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০২৪ সালে ছয় দশমিক শূন্য নয় শতাংশ হয়।
বিশ্ব বাজারে পোশাক রপ্তানিতে তুরস্ক চতুর্থ অবস্থানে আছে। এরপর আছে ভারত, কম্বোডিয়া ও পাকিস্তান। ডব্লিউটিওর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে ইন্দোনেশিয়া অষ্টম ও যুক্তরাষ্ট্র নবম স্থান অর্জন করে।
এদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাতের মতো বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের সঙ্গে গত বছর দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হয়। এতে করে আমদানি-রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হয়। পরবর্তী সময়ে শ্রমিক আন্দোলনে আশুলিয়ার মতো বড় শিল্পাঞ্চলের বেশ কিছু কারখানায় কয়েক সপ্তাহ উৎপাদন বন্ধ থাকে। এ ছাড়া গ্যাস-বিদ্যুতের সংকটেও ভুগেছে এই শিল্প খাত।
জানতে চাইলে নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি ফজলে শামীম এহসান বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক কার্যকর হলে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি কমতে পারে। অন্যদিকে এই বাজারে ভিয়েতনামের রপ্তানি বাড়তে পারে। এতে করে বৈশ্বিক বাজারে বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের রপ্তানি কাছাকাছি চলে যাওয়ার শঙ্কা আছে। তারপরও এ বছর দ্বিতীয় শীর্ষ স্থান ধরে রাখা সম্ভব হবে বলে প্রত্যাশা করছি।
ঢাকা এক্সপ্রেস/আরইউ