শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৯:৫৮, ১১ মে ২০২৫
পুলিশ বলছে, গ্রেপ্তারের পর তামান্নার আইনজীবী আসামি জামিনে থাকার কাগজপত্র দেখালে যাচাই-বাছাই শেষে পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে তাঁর বিরুদ্ধে একটি আটকাদেশ থাকায় তাঁকে ভিন্ন একটি থানা (বায়েজিদ) পুলিশ পরে হেফাজতে নেন। তামান্না চট্টগ্রাম নগরের সদরঘাট থানাধীন মাঝিরঘাট রোডের মো. শফি মাঝির মেয়ে।
বাকলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ও জোড়া খুনের মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, ‘আসামি তামান্না এত দিন হাইকোর্টের অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে ছিলেন। সেই জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করেননি। আমরা যখন তাঁকে গ্রেপ্তার করি; তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ ও পুনরায় জামিনের কথা বলেন, কিন্তু তখন তিনি কোনো কাগজপত্র আমাদের দেখাতে পারেননি। পরে তাঁকে জোড়া খুনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে থানায় আনা হয়।’
পুলিশের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘রোববার তামান্নার আইনজীবী এই খুনের মামলাটিতে আদালতে তাঁর জামিন-সংক্রান্ত কাগজপত্র দেখান। তাঁর আইনজীবী জানান, গত বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের নির্দেশে আসামি নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণপূর্বক পুনরায় জামিন আবেদন করেন। এ সময় নিম্ন আদালত আগামী ১৫ মে জামিন শুনানির তারিখ নির্ধারণ করেন। একই সঙ্গে আসামি অন্তঃসত্ত্বা ও অসুস্থ হওয়ায় তাঁর আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত শুনানির আগ পর্যন্ত যাতে মামলাটিতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা না হয়, সেই নির্দেশনা দেন। সবকিছু যাচাই-বাছাই শেষে পরে আসামি তামান্নাকে এই মামলায় গ্রেপ্তার না দেখিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে বায়েজিদ থানায় তামান্নার বিরুদ্ধে একটি আটকাদেশ রয়েছে। পরে ওখানকার থানা-পুলিশের কাছে তাঁকে তুলে দেওয়া হয়।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তামান্নার ভাইরাল হওয়া ভিডিও নিয়ে সে সময় তাঁর বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ সদর দপ্তরের একটি আটকাদেশ রয়েছে। সর্বশেষ তথ্য (রোববার বিকেল ৫টা) অনুযায়ী খবরে জানা গেছে, সাজ্জাদের স্ত্রী তামান্না বর্তমানে বায়েজিদ থানা-পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন।
এর আগে গত ১৫ মার্চ সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার হয়। পরদিন তাঁর স্ত্রী তামান্না প্রতিক্রিয়া হিসেবে নিজের ফেসবুক পেজে লাইভে এসে ‘কাড়ি কাড়ি’ টাকা খরচ করে সাজ্জাদকে জামিনে বের করে আনার কথা বলেন। পাশাপাশি তাঁর বিরোধী পক্ষকে হুমকি দিয়ে বলেছেন, ‘এখন তোমাদের পলাতক থাকার পালা।’ ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তামান্না তাঁর ফেসবুক আইডি থেকে ভিডিওটি শেয়ার করলেও পরে তা সরিয়ে নেন।
এর আগে বাকলিয়া থানা-পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারের সময় তামান্নাকে হাস্যোজ্জ্বল চেহারায় থানায় হেঁটে যাওয়ার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়।