শিরোনাম
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৪:০১, ১২ মে ২০২৫
ছবি: সংগৃহীত
বাঘাডাঙ্গা গ্রামের ইউপি সদস্য ওবায়দুল ইসলাম ও আহত যুবকের স্বজনরা জানান, রাত ৯টার দিকে ইব্রাহিম বাড়ির পাশে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিল। এ সময় প্রতিপক্ষের রফিকুল ইসলাম রাফি ও চঞ্চল মিয়া প্রতিপক্ষ ইব্রাহিমকে উদ্দেশে গুলি ছোড়ে। এতে ইব্রাহিম গুলিবিদ্ধ হন। পরে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে মহেশপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে আহত ইব্রাহিমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
জানা গেছে, গত বছরের ২৪ জানুয়ারি সীমান্তে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে চোরাচালান সিন্ডিকেটের দুই সদস্য শামিম হোসেন ও তার ভাতিজা মন্টু মিয়াকে গুলি করে হত্যা করে প্রতিপক্ষ। চাঞ্চল্যকর জোড়া হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বাঘাডাঙ্গা কল্যাণপাড়া গ্রামের তরিকুল ইসলাম আকালেসহ কয়েকজনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতদের পরিবার। মামলার পর থেকে তরিকুল ইসলাম আকালে পলাতক রয়েছেন। তবে হত্যা মামলার আসামী ইব্রাহিম দুই মাস আগে জামিন পেয়ে কারামুক্ত হন। এরপর থেকে তিনি গ্রামেই বসবাস করছিলেন।
রোববার রাত ৯টার দিকে ইব্রাহিম বাড়ির পাশে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় গুলি চালায় রফিকুল ইসলাম রাফি ও চঞ্চল মিয়া। রফিকুল ইসলাম রাফি গত বছরের চাঞ্চল্যকর জোড়া হত্যাকাণ্ডের শিকার শামিম হোসেনের ভাই ও মন্টু মিয়ার চাচা।
মহেশপুর থানার ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘গুলিবিদ্ধ ইব্রাহিমকে মহেশপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে। পরে সেখান থেকে তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করেছেন চিকিৎসক। অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছেন। তাদের আটক করতে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।’
ওসি সাইফুল ইসলাম আরও বলেন, ‘পূর্ব বিরোধ ও জোড়া হত্যাকাণ্ডের জেরে গুলির ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করছে পুলিশ।’
ঢাকা এক্সপ্রেস/এনএ