শিরোনাম
রাঙামাটি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৭:০৮, ১২ মে ২০২৫
রাঙামাটি বিএফডিসি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টাসহ অথিতিরা। ছবি: ঢাকা এক্সপ্রেস
তিনি বলেন, ‘কিছু অসাধু জেলে, ব্যবসায়ী নিষিদ্ধ জাল যেমন, মশারি জাল, কারেন্ট জালসহ নিষিদ্ধ উপকরণ দিয়ে মাছ আহরণ করে। সেটা একেবারে অপরাধের পর্যায়ে পড়ে। দেশের অন্যান্য জায়গায়ও আমরা এটা বন্ধে আইন প্রয়োগ করছি, এখানেও আইন প্রয়োগ করা হবে। কোনোভাবেই অবৈধ উপায়ে মাছ আহরণ করা যাবে না।’
ফরিদা আখতার আরও বলেন, ‘জেলেদের ২০ কেজি করে যে চাল দেওয়া হয়, সেটা কোনোভাবে পর্যাপ্ত নয়। দেশের অন্যান্য জায়গায় আমরা ৪০ কেজি করে চাল দিই। কিন্তু এখানে তার অর্ধেক দেওয়া হয়, কি কারণে এভাবে দেয়া হয়, সেটা আমরা দেখবো। এটাকে ৪০ কেজিতে নিয়ে যেতে আমরা কাজ শুরু করে দিয়েছি। তবে এটাও পর্যাপ্ত নয়, কারণ, মাছ ধরতে না পারলে তাদের আয় বন্ধ থাকে। এ সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে পড়ে।
তিনি বলেন, কাপ্তাই লেক আমাদের সম্পদ। এখানে ট্যুরিস্টরা ঘুরতে এসে ছবি তুলবেন, সৌন্দর্য উপভোগ করবেন আবার বর্জ্য ফেলে লেক দূষণ করবেন, এটা হবে না। জেলা প্রশাসন, জেলা পরিষদকে এই বিষয় দেখতে হবে। তারা এসে এখানে যাতে পরিবেশ, হ্রদ দূষণ করতে না পারে সেজন্য তাদের ওপরও এই বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা দিতে হবে।’
ল্যান্ডিং সেন্টারটিকে আরও উন্নত করা গেলে মৎস্য উৎপাদন আরও বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের(বিএফডিসি) চেয়ারম্যান সুরাইয়া আখতার জাহানের সভাপতিত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: তোফাজ্জেল হোসেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান লে. জেনারেল অনুপ কুমার চাকমা, জেলা প্রশাসক মো. হাবিব উল্লাহ, জেলা পুলিশ সুপার ড. এস এম ফরহাদ হোসেন, বিএফডিসি রাঙামাটির ব্যবস্থাপক কমান্ডার মো: ফয়েজ আল করিমসহ সরকারের অন্যান্য উর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দ।
মৎস্যজীবী ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, মৎস্য ব্যবসায়ী মাহফুজ উদ্দিন।
আলোচনা সভা শেষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাসহ অতিথিবৃন্দ কাপ্তাই হ্রদে কার্প জাতীয় মাছের পোনা অবমুক্ত করেন। ৭২৫ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই হ্রদের চারটি অভয়াশ্রমে পর্যায়ক্রমে ৬০ মে. টন পোনা অবমুক্ত করা হবে। পরে হ্রদে মাছ ধরা বন্ধকালীন ২৬ হাজার ৬৫১ জন বেকার জেলে পরিবারের মাঝে ভিজিএফের চাল বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।
প্রসঙ্গত, প্রতি বছর কার্প জাতীয় মাছের বংশবৃদ্ধি, প্রাকৃতিক প্রজনন এবং অবমুক্তকৃত পোনার সুষ্ঠু বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১ মে থেকে তিন মাস কাপ্তাই হ্রদ মাছ আহরণ বন্ধ থাকে। তবে গত কয়েক বছর ধরে কাপ্তাই হ্রদে সঠিক সময়ে হ্রদের পানি বৃদ্ধি না পাওয়ায় তিন মাসের স্থলে চার মাস কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণ নিষেধাজ্ঞা দেয় জেলা প্রশাসন।
ঢাকা এক্সপ্রেস/এনএ