শিরোনাম
নীলফামারী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২০:৫৮, ১২ মে ২০২৫
ইউপি সচিব ও সদস্যদের বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগে মানববন্ধন করে ভুক্তভোগীরা। ছবি: ঢাকা এক্সপ্রেস
৮ নম্বর ওয়ার্ডের ভুক্তভোগী মোছা. সাথী বলেন, ‘দুই বছর কাজ করেছি, এখনও তিন বছর বাকি। এখন বলা হচ্ছে নতুন করে নাম দিতে হবে, আর এজন্য ৫ হাজার টাকা দিতে হবে। যারা টাকা দিচ্ছে, তাদের নাম অনলাইনে তোলা হচ্ছে। আমরা এর বিচার চাই।’
একই অভিযোগ করেন ৫ নম্বর ওয়ার্ডের রেনু বালা, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের আফসার আলী, সোলাইমান, এবং অন্যান্য ভুক্তভোগীরাও। তারা বলেন, ‘পুরোনো তালিকা হালনাগাদ করার নামে প্রকৃত দরিদ্রদের বাদ দিয়ে স্বচ্ছল লোকদের টাকার বিনিময়ে তালিকাভুক্ত করা হচ্ছে।
তারা জানান, একাধিক সদস্য ও সচিব টাকা নিয়ে অনলাইনে নাম তোলার কাজ করছেন এবং পুরোনো সুবিধাভোগীদের বাদ দিচ্ছেন। তালিকায় নাম রাখতে না পারলে কর্মসংস্থান থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন দরিদ্র মানুষ।
৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মাটিকাটা দলের সর্দার নাজবুর রহমান নিভেল বলেন, ‘হালনাগাদ মানে মৃত বা অযোগ্যদের বাদ দিয়ে নতুন যোগ্যদের সুযোগ দেওয়া। কিন্তু এখানে সবাইকে বাদ দিয়ে নতুন করে টাকা নিয়ে নাম তোলা হচ্ছে।’
অভিযোগের বিষয়ে ইউপি সচিব রহিদুল ইসলাম বলেন, ‘কাউকে এখনো বাদ দেওয়া হয়নি। পরিপত্র অনুযায়ী নতুন করে সবার অনলাইন আবেদন নেওয়া হচ্ছে। টাকা নেওয়ার অভিযোগ সত্য নয়। কেউ প্রমাণ দিতে পারবে না।’
এ বিষয়ে সংরক্ষিত নারী মেম্বার মেরিনা, তার স্বামী ফজলার রহমান, এবং ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বাররা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান।
ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. লুৎফর রহমান বলেন, ‘ইউএনও মহোদয়ের নির্দেশে তালিকা হালনাগাদ হচ্ছে। কেউ অনিয়ম করলে তার বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে।’
ঢাকা এক্সপ্রেস/এনএ