শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৩:১৫, ১২ মে ২০২৫
গতকাল রোববার রাতে বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয় ও হজ এজেন্সিগুলোর সঙ্গে সৌদি সরকারের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের ভার্চ্যুয়াল সভায় দেশটির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাসান আল মনোয়ার এ তথ্য জানান। সৌদি সরকারের এই ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে চ্যালেঞ্জার ট্রাভেলসের লাইসেন্সের অনুকূলে মোনাজ্জেম বা প্রতিনিধিত্বকারী ব্যক্তির পাসপোর্ট জব্দ, ভিসা বাতিল এবং সৌদি আরবে তার চলাচল সীমিত করে দিয়েছে। এর ফলে ১৬টি হজ এজেন্সির ১ হাজার ১৮ জন হজযাত্রী দুর্ভোগে পড়তে পারেন।
ভার্চ্যুয়াল সভায় উপস্থিত একাধিক সূত্র জানিয়েছে, সভায় সৌদি উপমন্ত্রী বাংলাদেশি হজযাত্রীদের বাড়িভাড়ায় কয়েকটি এজেন্সির অনিয়মের কথা উল্লেখ করেন। তিনি জানান, প্রায় ১৫ হাজার হজযাত্রীর বাড়িভাড়ার কাগজপত্রের সঙ্গে প্রকৃত বাড়ির কোনো মিল নেই। অনেক হজযাত্রীর বেলায় কাগজপত্রে বাড়িভাড়া দেখানো হয়েছে, প্রকৃতপক্ষে বাড়িভাড়া হয়নি বা এক বাড়ি দেখিয়ে অন্য বাড়িতে হজযাত্রী রাখা হচ্ছে। এ কারণে ১৫ হাজার হজযাত্রীর মিনার কার্ড তাঁরা অবরুদ্ধ করে রেখেছেন।
চ্যালেঞ্জার ট্রাভেলসের মালিক হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি সৈয়দ গোলাম সারোয়ার। তিনি দাবি করেন, ‘চ্যালেঞ্জার ট্রাভেলসকে কালোতালিকাভুক্ত করা হয়নি, কালোতালিকাভুক্ত করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সৌদি উপমন্ত্রী। সৌদি সরকারের আইন অনুযায়ী, লিড এজেন্সি হিসেবে অন্যের অনিয়ম বা অপরাধের দায় এই এজেন্সির ওপর পড়েছে। “ইউসূফ এয়ার” নামের আমাদের সহযোগী একটি হজ এজেন্সির নিবন্ধিত ৩৫ জন হজযাত্রীর বাড়িভাড়াসংক্রান্ত অনিয়মের কারণে এই জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে।’
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চ্যালেঞ্জার ট্রাভেলসকে কালোতালিকাভুক্ত করা এবং ১৫ হাজার হজযাত্রীর বাড়িভাড়ার কাগজপত্রে অসংগতির তথ্য জানার পর এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সৌদি আরবে বাংলাদেশ হজ মিশনকে দায়িত্ব দিয়েছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
প্রসঙ্গত, এ বছর ৭৫৩টি হজ এজেন্সির অধীন নিবন্ধিত ৮১ হাজার ৯০০ জন ব্যক্তি ৭০টি ‘লিড এজেন্সির’ মাধ্যমে হজে যাচ্ছেন। এ বছর বাংলাদেশ থেকে মোট ৮৭ হাজার ১০০ জন হজে যাচ্ছেন। এর মধ্যে বেসরকারিভাবে ৮১ হাজার ৯০০ জন এবং সরকারিভাবে ৫ হাজার ২০০ জন হজের জন্য নিবন্ধন করেছেন। গত ২৯ এপ্রিল থেকে হজযাত্রা শুরু হয়েছে।