ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫

২৯ বৈশাখ ১৪৩২, ১৪ জ্বিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম

Scroll
মানিকগঞ্জ-২ আসনের সাবেক এমপি মমতাজ বেগমকে ধানমন্ডি থেকে গ্রেফতার করেছে ডিবি
Scroll
সোনার দাম কমেছে, ভরি ১ লাখ ৬৭ হাজার ৬২৩ টাকা
Scroll
আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত: ইসি সচিব
Scroll
পুলিশের হাতে আর মারণাস্ত্র থাকবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
Scroll
আ.লীগ ও সংশ্লিষ্ট সংগঠনের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি
Scroll
চিকিৎসকদের পরিবর্তনের মানসিকতা নিয়ে সেবার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের
Scroll
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জুলাই গণহত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল
Scroll
বজ্রপাতের বিষয়ে ২১ জেলায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের সতর্কবার্তা
Scroll
সৌদি আরব পৌঁছেছেন ৩৮ হাজার ৫৭০ হজযাত্রী, ছয় জনের মৃত্যু
Scroll
ভ্লাদিমির পু‌তি‌নের স‌ঙ্গে বৈঠক কর‌তে তুরস্ক যা‌চ্ছেন ভলোদিমির জে‌লেন‌স্কি
Scroll
আন্তর্জাতিক নার্স দিবস আজ
Scroll
প্রথম রবিবারের ভাষণে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানালেন পোপ লিও
Scroll
টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় বললেন বিরাট কোহলি
Scroll
মিচেল ও কারেনকে নিয়ে মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইলেন রিশাদ হোসেন

যুক্তরাজ্যে বিপদে পড়বে বাংলাদেশিরা?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ২১:১৬, ১২ মে ২০২৫

যুক্তরাজ্যে বিপদে পড়বে বাংলাদেশিরা?

যুক্তরাজ্যকে নিজের আবাসভূমি করার ইচ্ছা থাকা লক্ষাধিক মানুষের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে-এমন একটি ঘোষণায় সোমবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার পার্লামেন্টের এই মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে দেশে নিট অভিবাসন উল্লেখযোগ্যভাবে কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এটি যুক্তরাজ্যের অভিবাসনব্যবস্থা সংস্কারের লক্ষ্যে কয়েক বছরের মধ্যে প্রথম বড় পদক্ষেপ।

প্রধানমন্ত্রী স্টারমারের মূল লক্ষ্য অর্থনৈতিক স্থবিরতার মধ্যে প্রবৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করা। উচ্চ অভিবাসন সংখ্যা বেশি প্রবৃদ্ধি ঘটায়—এই তত্ত্বকে তিনি প্রত্যাখ্যান করেছেন।

অভিবাসন সম্পর্কিত একটি প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘উচ্চ অভিবাসন সংখ্যা প্রবৃদ্ধি ঘটায়-এই তত্ত্ব গত চার বছরে পরীক্ষা করা হয়েছে। সেই প্রমাণের ভিত্তিতে এই সম্পর্কটি সঠিক নয়।’

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, যারা ব্রিটিশ নাগরিক হতে চান, তাদের এখন নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য দ্বিগুণ সময় যুক্তরাজ্যে থাকতে হবে। নতুন অভিবাসননীতি সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘যুক্তরাজ্য দক্ষতা ও প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত বিনিয়োগ করেনি।এটি কেবল অভিবাসন সম্পর্কিত শ্বেতপত্র নয়, বরং এটি দক্ষতা ও প্রশিক্ষণ সম্পর্কিত শ্বেতপত্রও।’

যুক্তরাজ্যে অভিবাসনের নিট হার (যুক্তরাজ্যে অভিবাসন আগমন থেকে বহির্গমন সংখ্যা বাদ) আগামী সাধারণ নির্বাচন পর্যন্ত প্রতিবছর কমবে কি না-এই প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়ে স্টারমার নিশ্চিত করেছেন, এই পার্লামেন্টের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তা কমবে।

তবে যুক্তরাজ্যে অভিবাসনের ইচ্ছা থাকা ব্যক্তিদের জন্য ইতিবাচক দিক হলো, প্রধানমন্ত্রী স্টারমার মোট কতজনকে যুক্তরাজ্যে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে-এই সংখ্যার ওপর কোনো সীমা আরোপ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী এদিন তার উদ্বোধনী বক্তব্যে বলেন, যুক্তরাজ্যে অভিবাসন হ্রাসের উদ্দেশ্য হলো দেশকে ‘অচেনা মানুষের দ্বীপ’ হয়ে ওঠা থেকে রক্ষা করা।

তিনি বলেন, ‘আমার পরিবর্তন পরিকল্পনার একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কৌশল হলো আমাদের সীমান্তের ওপর নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার করা এবং আমাদের রাজনীতি, অর্থনীতি ও দেশের জন্য একটি নিকৃষ্ট অধ্যায় বন্ধ করা।’

ব্রেক্সিট-পরবর্তী ‘নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার’ মনোভাবের কথা উল্লেখ করে স্টারমার বলেন, ‘অভিবাসন নিয়ে সবাই জানে এর মানে কী ছিল।’

আগের সরকারকে আক্রমণ করে তিনি অভিযোগ করেন, ‘২০১৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত, যখন তারা দেশে অভিবাসন কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছিল, তখন নিট অভিবাসন চার গুণ বেড়েছে।’

এদিকে প্রধানমন্ত্রী স্টারমারের বিরুদ্ধে ডানপন্থী দল রিফর্ম ইউকের নেতা নাইজেল ফারাজের ভাষা ব্যবহার করার অভিযোগ করা হয়েছে। শরণার্থী দাতব্য সংস্থা কেয়ারফরকালেইস ‘অচেনা মানুষের দ্বীপ’ মন্তব্যের জন্য প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ‘ডানপন্থী উগ্রতাকে উসকে দেওয়ার’ অভিযোগ এনেছে।

প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়ে সংস্থাটির সিইও স্টিভ স্মিথ বলেন, ‘যেকোনো প্রধানমন্ত্রীর জন্য এটি বিপজ্জনক ভাষা। স্টারমার কি গত বছরের ডানপন্থী দাঙ্গা ভুলে গেছেন? এই লজ্জাজনক ভাষা কেবল ডানপন্থী উগ্রতাকে উসকে দেবে এবং যুদ্ধ, নির্যাতন ও আধুনিক দাসত্বের মতো দুর্যোগ থেকে বেঁচে আসা ব্যক্তিদের জন্য আরো বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি করবে। স্টারমারের উচিত ক্ষমা চাওয়া।’

আরও পড়ুন