শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৮:৫৭, ১৩ মে ২০২৫
আজ দুপুরের পর কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে হেলমেট ও বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরিয়ে আদালতে আনা হয় মমতাজকে। হাজতখানা থেকে তাঁকে আদালতে নেওয়ার সময় সাংবাদিকদের ক্যামেরা দেখে মাথা নিচু করে মুখ লুকাতে দেখা যায় মমতাজকে। এ সময় বিক্ষুব্ধ কিছু আইনজীবী ‘ফাইট্টা যায়’ স্লোগান দিতে থাকেন এবং তাঁর দিকে তেড়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পুলিশ সদস্যরা তাদের বাধা দেন এবং কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে তাঁকে এজলাসে নেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার এসআই মনিরুল ইসলাম ৭ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। মমতাজের পক্ষে তাঁর আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। পরে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিকে এজলাসের ভেতরে ছবি তোলা নিষেধ থাকলেও মমতাজকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর সময় অনেক আইনজীবী ভিডিও ও ছবি তোলেন। সেই সব ছবি-ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
শুনানি শেষে রিমান্ড মঞ্জুরের পর মমতাজকে লিফটে তোলার সময় আবারও আইনজীবীদের বাধার মুখে পড়তে হয়। মিরপুর থানার একটি হত্যা মামলায় চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনের ১৮ নম্বর এজলাসে শুনানি হয় মমতাজের। এটি ছিল সাত তলায়। শুনানি শেষ হওয়ার পর কিছু সংখ্যক আইনজীবী হট্টগোল শুরু করেন। এ সময় নিরাপত্তার কারণে প্রায় ৩০ মিনিট মমতাজকে কাঠগড়ায় রাখা হয়। পরে এজলাস থেকে বের হলে পুলিশ তাঁকে নিয়ে লিফটে উঠতে যায়। এ সময় আইনজীবীরা বাধা দেন। আইনজীবীদের বাধার মুখে সিঁড়ি দিয়ে নামানো হয় তাঁকে।
এর আগে গতকাল সোমবার রাত পৌনে ১২টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে তাঁকে আটক করা হয়। পরে মিরপুর মডেল থানার সাগর হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হয়।