শিরোনাম
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২১:৪০, ১৩ মে ২০২৫ | আপডেট: ২১:৪২, ১৩ মে ২০২৫
ছবি: সংগৃহীত
বিষয়টি নিশ্চিত করে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অপারেশন) তারেক আল মেহেদী বলেন, ‘গতকাল রাতে এই মামলা হয়েছে। সেই সঙ্গে এই মামলায় এজাহারভুক্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, শহরের শহীদনগর এলাকার হানিফের ছেলে মোহাম্মদ জিসান (২৮), কাশেমের ছেলে হানিফ (৪০) ও আব্দুল হাইয়ের ছেলে শওকত মিথুন (৪৩)।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, ০৮-০৫-২০২৫ইং তারিখ রাত্র অনুমান ২২.৪০ ঘটিকার সময় পুলিশ নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানাধীন ১৫৭ পশ্চিম দেওভোগস্থ ডা: সেলিনা হায়াত আইভীর বাসায় উপস্থিত হয়ে ডা: সেলিনা হায়াত আইভীকে আইনানুগ প্রক্রিয়ায় গ্রেপ্তার করতে গেলে ডা: সেলিনা হায়াত আইভীর সমর্থিত লোকজন আইনানুগ গ্রেপ্তারে বাধা প্রদান করে এবং তার বাসার সামনে চারপাশের রাস্তায় ট্রাক দিয়ে বালি ফেলে এবং বাঁশ দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে ব্যারিকেড সৃষ্টি করে এবং পুলিশকে অবরুদ্ধ করে রাখে।
পুলিশ গ্রেপ্তারের জন্য যাওয়ার পর পর আইভী সমর্থক আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীগণ বিভিন্ন মসজিদের মাইকে ও বিভিন্ন মাধ্যমে আইভির গ্রেপ্তারের বিষয়ে ঘোষণা দিলে স্থানীয় নারী-পুরুষসহ আইভির সমর্থিত আরও লোকজন নারী-পুরুষ জড়ো করে। উল্লিখিত বিবাদীগণ পুলিশকে আইনানুগ গ্রেপ্তারে বাধা প্রদান করতে থাকে এবং আইভির গ্রেপ্তার বিরোধী বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকে।
পুলিশ ধৈর্যের সাথে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে অপেক্ষা করতে থাকে। ০৯/০৫/২০২৫ তারিখ ভোর ০৫.৪৫ ঘটিকার সময় ডা: সেলিনা হায়াত আইভীকে পুলিশ গ্রেপ্তার পূর্বক আইনানুগ হেফাজতে নিয়ে সরকারি পিকআপে উঠিয়ে জেলা গোয়েন্দা শাখায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা করে।
পথিমধ্যে পুলিশ বার বার অনুরোধ করা সত্ত্বেও উল্লিখিত বিবাদীগণ মিছিল সহকারে বিভিন্ন উত্তেজনাকর স্লোগান দিয়ে আইভিকে বহনকারী গাড়ি চলাচলে বাধা প্রদান করতে থাকে ০৯/০৫/২০১৫ ইং তারিখ সকাল আনু: ০৬.২০ ঘটিকার সময় নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানাধীন কালির বাজারস্থ কাচা বাজারের পশ্চিম পাশে গলাচিপা রাস্তার সামনে বিবি রোডস্থ পাকা রাস্তায় পৌঁছামাত্র ডা: সেলিনা হায়াত আইভীর সমর্থক, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা আইভীকে আইনানুগ গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশকে বাধা প্রদান করে পুনরায় ব্যারিকেড দেয়।
পুলিশ বাধা দিলে উল্লিখিত বিবাদীগণ আইভিকে বহনকারি পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকলে উক্ত স্থানে উপস্থিত কর্তব্যরত পুলিশের এসআই (নি:) মিলন কুমার হালদার মাথায় গুরুতর রক্তাক্ত হন, এসআই মুহাম্মদ খাইরুল বাশার এক হাতে জখম, কনস্টবল ৭১১ জহিরুল ইসলাম কপালের বামপাশে গুরুতর রক্তাক্ত হন। পুলিশ অত্যন্ত ধৈর্যের সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা করে দ্রুত গ্রেফতারকৃত আসামী সেলিনা হায়াত আইভীকে নিরাপদে জেলা গোয়েন্দা শাখায় নিয়ে যায়।
ঢাকা এক্সপ্রেস/এনএ