শিরোনাম
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৭:১৯, ১৩ মে ২০২৫ | আপডেট: ১৭:২২, ১৩ মে ২০২৫
বাবা আনোয়ারুল আজীম আনারের সাথে মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন। ছবি: সংগৃহীত
গত বছরের ১২ মে ভারতের কলাকাতায় যান সাবেক এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার। সেখানে তিনি কলকাতার বরাহনগর এলাকায় বন্ধুর বাড়িতে ছিলেন। এরপর ১৩ মে বন্ধুর বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি। সেই থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। নিখোঁজের ৯ দিন পর ২২ মে ভারতের নিউটাউন এলাকার সঞ্জীবা গার্ডেনের বিউ-৫৬ নম্বর ফ্ল্যাট থেকে তার খণ্ড-বিখণ্ড মরদেহ উদ্ধার করে কলকাতার পুলিশ। এরপর গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে বিষয়টি জানাজানি হয়। এ ঘটনায় গত বছরের ২২ মে ঢাকার শের-ই-বাংলা নগর থানায় খুন করার উদ্দেশ্যে অপহরণের অভিযোগে মামলা করেন সাবেক এমপি আনারের ছোট মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন। এখন পর্যন্ত সাবেক এমপি আনার হত্যার ঘটনায় ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এর মধ্যে ৭ জনকে বাংলাদেশে ও দুইজনকে ভারত ও নেপালে আটক করা হয়েছে। সাবেক এমপি আনার হত্যায় ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু ও ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক কাজী কামাল আহমেদ বাবু গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন। কিন্তু এই হত্যাকাণ্ডের মূল মাস্টারমাইন্ড আনারের বন্ধু যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী আক্তারুজ্জামান শাহীন ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন।
সাবেক এমপি আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন বলেন, ‘২০২৪ সালের নভেম্বর মাসের শেষের দিকে ভারতে গিয়ে ডিএনএ দিয়েছি। মরদেহের খণ্ডাংশের সাথে তার ডিএনএ মিলেছে বলে ভারতের সিআইডি জানিয়েছেন। কিন্তু অফিশিয়ালভাবে কোনো কাগজ এখনো পাইনি। ভারতের সিআইডি কয়েকবার চিঠি দিয়েছে কিন্তু বাংলাদেশ থেকে কোনো সাড়া দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।’
তিনি বলেন, ‘হত্যার সাথে জড়িতরা ইতিমধ্যে জামিনের জন্য চেষ্টা করছে। এই মুহুর্তে যদি তাদের জামিন হয়ে যায় তাহলে মামলার তদন্ত কার্যক্রম বাঁধাগ্রস্থ হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই এক বছরে বাবার জানাযা ও দাফনের ব্যবস্থা করতে পারিনি। এর থেকে কষ্টের আর কিছু হতে পারে না।’
তিনি দ্রুতই বাবার মরদেহের খণ্ডাংশ পেয়ে দাফনের ব্যবস্থা করতে চান বলে জানান এবং হত্যার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। আনারের মৃত্যুর এক বছর পূর্তির দিনে কালীগঞ্জের বাড়িতে এতিমখানার শিশুদের দিয়ে কোরআন খতম ও মিলাদের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তবে ঢাকার শের-ই-বাংলা নগর থানায় সাবেক এমপি আনারের ছোট মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিনের করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাহাউল্লাহ খানকে ফোন করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
ঢাকা এক্সপ্রেস/এনএ