ঢাকা, রোববার, ১১ মে ২০২৫

২৮ বৈশাখ ১৪৩২, ১৩ জ্বিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম

Scroll
বাংলাদেশের কাছে শুল্ক কমানোর লিখিত প্রস্তাব চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র
Scroll
রাজনৈতিক দলের বিচারে ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন করে গেজেট প্রকাশ
Scroll
এপ্রিলে ৫৯৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৮৮ জন নিহত: রোড সেফটি ফাউন্ডেশন
Scroll
গেজেট প্রকাশের পরই আওয়ামী লীগের নিবন্ধন নিয়ে সিদ্ধান্ত: সিইসি
Scroll
আওয়ামী লীগসংশ্লিষ্ট সব পেজ বন্ধে পদক্ষেপ নেবে বিটিআরসি: প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী
Scroll
বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা আজ
Scroll
আজ বিশ্ব মা দিবস: মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা প্রকাশের দিন
Scroll
চট্টগ্রামে জোড়া খুনের মামলায় ছোট সাজ্জাদের স্ত্রী তামান্না শারমিন গ্রেপ্তার
Scroll
লঞ্চে দুই তরুণীকে পেটানো তরুণসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
Scroll
ভারত ও পাকিস্তানের যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

ধর্ষণের শিকার সপ্তম শ্রেণির সেই ছাত্রীর আত্মহত্যা 

ফরিদপুর প্রতিনিধি 

প্রকাশ: ১৭:৫৩, ৭ মে ২০২৫

ধর্ষণের শিকার সপ্তম শ্রেণির সেই ছাত্রীর আত্মহত্যা 

ছবি: সংগৃহীত 

ফরিদপুরে আত্মহত্যা করেছে ধর্ষণের শিকার সেই সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ইতি আক্তার (১৩)। তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ওই স্কুলছাত্রী সম্প্রতি বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের শিকার হয়েছিলো। বুধবার (৭ মে) সকাল ১০টার দিকে ফরিদপুরের সালথা উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের সিংহপ্রতাপ গ্রামে নিজেদের বসতঘর থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।  নিহত ইতি সিংহপ্রতাপ গ্রামের দিনমুজুর মো. সিদ্দিক বিশ্বাসের একমাত্র মেয়ে ও স্থানীয় সাড়কদিয়া উচ্চবিদ্যালয়েল সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিলো। 

সালথা থানা পুলিশ জানায়, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ইতির সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে পার্শ্ববর্তী ফরিদপুর সদর উপজেলার কৈজুরি ইউনিয়নের প্রতাপপুর গ্রামের মো. নিজাম উদ্দিনের ছেলে সোহেল রানা (২২)। ইতির মা প্রবাসে থাকে আর বাবা ও ভাই জীবিকার তাগিদে বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দিনমুজুরের কাজ করেন। গত ১৪ মার্চ ইতি বাড়িতে একা ছিলো। এই সুযোগে বখাটে সোহেল মেয়েটির বাড়িতে এসে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করে। 

ধর্ষণের ঘটনার নির্যাতিত স্কুলছাত্রীর বাবা সিদ্দিক বিশ্বাস বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সালথা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পর গত ২০ এপ্রিল দিবাগত রাতে পটুয়াখালি থেকে অভিযুক্ত সোহেলকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। বর্তমানে অভিযুক্ত সোহেল কারাগারে রয়েছেন। 

ইতির পরিবারের সদস্যরা জানান, অভিযুক্ত সোহেল গ্রেপ্তার হওয়ার পরও উভয় পরিবার মিমাংসার চেষ্টা করে। তবে ইতিকে পুত্রবধু করতে রাজি হয়নি অভিযুক্ত সোহেলের পরিবার। যে কারণে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছিলো ইতি। বুধবার সকালে নিজ ঘরের আড়ার সাথে ইতির মরদেহ ঝুলতে দেখে তার পরিবার। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। 

সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান বলেন, “ধর্ষণের শিকার ইতির লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। আমরা যতোটুকু জানতে পেরেছি, ইতির পরবিার অভিযুক্ত সোহেলের সাথেই বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলো। এতে সোহেলের পরিবার রাজি না হওয়ায় অভিমান করে গলায় ফাঁস দিয়ে ইতি আত্মহত্যা করে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। 


ঢাকা এক্সপ্রেস/এনএ 

আরও পড়ুন