শিরোনাম
রাঙামাটি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৪:২৮, ১১ মে ২০২৫
নানা অনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে রাঙামাটির বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহারে পালিত হয় বুদ্ধ পূর্ণিমা। ছবি: ঢাকা এক্সপ্রেস
বিহারে সকাল থেকেই পূণ্যার্থীরা যোগ দেন। প্রদীপ প্রজ্জ্বলন শেষে নিজেকে সমর্পন করেন বুদ্ধের চরণে। মনের সকল নিবেদন নিয়ে বুদ্ধের কাছে করেন প্রার্থনা।
এ ছাড়াও, বুদ্ধ স্নান, বুদ্ধপূজা, পঞ্চশীল, অষ্টশীল প্রার্থনা, বুদ্ধমুর্তি দানের পর সবাই সমবেত প্রার্থনায় যোগ দেন।
এ ছাড়া, শহরের রাজবন বিহার, আনন্দ বিহার, মৈত্রী বিহারসহ সকল বিহারে সকাল থেকে পূণ্যার্থীরা মঙ্গল কামনায় বুদ্ধের কাছে প্রার্থনা করেন। রাঙামাটি সংঘরাম বৌদ্ধ বিহার প্রধান ভদন্ত শ্রদ্ধালংকার মহাথের ও অন্য ভান্তেরা পুণ্যার্থীদের মাঝে ধর্মীয় দেশনা দেন।
এ সময় রাজবন বিহার উপাসক-উপাসিকা পরিষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বিহারে আসা পূণ্যার্থী আলোময় চাকমা জানান, বৌদ্ধ ধর্মে প্রবর্তক গৗতম বুদ্ধের জন্ম, বুদ্ধত্বলাভ ও মহা পরিনির্বাণ লাভ করায় ত্রিস্মৃতি বিজড়িত দিনটি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাছে খুবই গুরত্বপূর্ণ ও পুণ্যময়। তাই বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের কাছে এই দিনটি খুবই পূণ্যময় একটি দিন।
রাঙামাটি সংঘরাম বৌদ্ধ বিহার প্রধান ভদন্ত শ্রদ্ধালংকার মহাথের বলেন, ‘পার্বত্য এলাকাসহ পুরো বাংলাদেশ তথা পুরো বিশ্বের মঙ্গল ও শান্তি কামনা করছি। প্রত্যেক নর-নারী ও প্রতিটি মানুষ সুস্থ্য ও সুন্দরভাবে জীবনযাপন করতে পারে। আমাদের মধ্যে হিংসা, বিদ্বেষ দূর হয়ে যাক। সকল সম্প্রদায়ের মানুষ একসাথে বসবাস করতে পারি সেই প্রার্থনা এই দিনে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তথাগত ভগবান মহামতি গৌতম বুদ্ধের ত্রিস্মৃতি বিজরিত এই পূর্ণিমা তিথি বৌদ্ধদের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যবহ। এদিন মহামানব গৌতম বুদ্ধ জন্ম, বুদ্ধত্ব ও মহাপরিনির্বাণ লাভ করেন। এই তিনটা ঘটনার মাধ্যমে আমরা এই শিক্ষা পেতে পারি এই পৃথিবীতে একজন মহাপুরুষের আবির্ভাব প্রয়োজন, ওনার জ্ঞান লাভ করার জন্য সাধনা প্রয়োজন, পৃথিবীতে যতই মহাপুরুষ হন না কেনো উনাকে একদিন মৃত্যুবরণ করতে হবে।
প্রসঙ্গত, বৌদ্ধ ধর্মের প্রবর্তক গৌতম বুদ্ধের জন্ম, বুদ্ধত্বলাভ ও মহা পরিনির্বাণ লাভ করায় ত্রি-স্মৃতি বিজড়িত দিনটি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাছে খুবই গুরত্বপূর্ণ ও পুণ্যময়। তাই বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাছে এই দিনটি খুবই পূণ্যময় একটি দিন। এই দিনে তারা নানা ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালন করেন। নিজের পাশাপাশি জগতের সকল প্রাণীর মঙ্গল কামনা করেন। এমন পূণ্যময় অনুষ্ঠানে ভক্তকূলের প্রার্থনা সকল সম্প্রদায়ের মৈত্রীময় সহাবস্থান।’
ঢাকা এক্সপ্রেস/এনএ