শিরোনাম
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২০:৫৫, ২৮ মে ২০২৫
পশুর হাটের দরপত্র নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। ছবি: ঢাকা এক্সপ্রেস
বুধবার (২৮ মে) সকাল থেকে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) কার্যালয়ে ১৫ টি অস্থায়ী কোরবানির হাটের দরপত্র বিক্রি শুরু হয়। সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে কয়লাঘাট পশুর হাটের দরপত্র কিনে কার্যালয় থেকে বের হওয়ার সময় ফতুল্লা থানা বিএনপির নেতা লাভলুর উপর হামলা চালায় গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (মেম্বার) রুবেল মেম্বারের অনুসারীরা।
এ সময় কিল-ঘুষি মেরে দরপত্র ছিনিয়ে নেয়া হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর কিছুক্ষণ পর একই হাটের দরপত্র নিয়ে বের হওয়া আরেক ব্যবসায়ী জাকিরের উপরও একই ধরনের হামলার ঘটনা ঘটে।
বিকেল ৪ টায় আবারও কয়লাঘাট হাটের দরপত্র নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ বাধে। রুবেল মেম্বারের অনুসারীরা ফতুল্লা থানা যুবদলের সদস্য সচিব সালাউদ্দিন ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা সোহেলের উপর হামলা চালায়। এ সময় বৃষ্টির মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘কয়লাঘাট হাটের দরপত্র নিয়ে একটি গ্রুপ অপর গ্রুপের উপর হামলা করে। পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নিয়ে ১২ জনকে আটক করেছে।’
এ ঘটনায় এলাকায় রাজনৈতিক উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে প্রশাসন সতর্ক রয়েছে বলে জানান তিনি।
ঢাকা এক্সপ্রেস/এনএ