শিরোনাম
বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ: ২০:৫১, ৩০ মে ২০২৫ | আপডেট: ২২:০৩, ৩০ মে ২০২৫
প্রতিবেশীদের বরাত দিয়ে জানা গেছে, বড় ছেলে বিদেশে থাকায় ছোট ছেলে ও পুত্রবধূর সঙ্গেই বসবাস করতেন দুলু। দীর্ঘদিন ধরে সম্পত্তি ছোট ছেলের নামে লিখে দেওয়ার চাপ দিচ্ছিল তারা। এতে রাজি না হওয়ায় একপর্যায়ে তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নির্যাতনের পর দুলু অচেতন হয়ে পড়লে ছেলে ও তার স্ত্রী অন্য কক্ষে চলে যান। পরে প্রতিবেশীরা দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গেলে তার জীবন রক্ষা হয়।
চিত্রগ্রাহক ও দীর্ঘদিনের সহকর্মী আবু মুসা দেবু হাসপাতালে গিয়ে দুলুর দুরবস্থা দেখে বলেন, “তিনি এখনো চিকিৎসার পরিপূর্ণ যত্ন পাচ্ছেন না। ছেলে ও ছেলের বউ কেউ তাকে দেখতে আসেননি।” তিনি দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়ে নির্যাতনকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
চলচ্চিত্র পরিচালক এফ আই মানিক, এ জে মিন্টু ও আবু মুসা দেবুসহ আরও অনেকে এই অবস্থায় মুজিবুর রহমান দুলুর চিকিৎসা ও জীবনযাত্রা ব্যয়ের জন্য রাষ্ট্রীয় সহযোগিতা চেয়েছেন। তারা বলেন, ‘এমন একজন গুণী মানুষ যিনি তিন শতাধিক সিনেমায় কাজ করে শিল্পকে ঋণী করেছেন, আজ অর্থাভাবে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন—এ অবস্থা মেনে নেওয়া যায় না।’
‘নয়ন মনি’ ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু করেন মুজিবুর রহমান দুলু। এরপর ‘সুজন সখী’, ‘মিন্টু আমার নাম’, ‘অভাগী’, ‘ভাত দে’, ‘হাজার বছর ধরে’, ‘৭১ এর মা জননী’সহ প্রায় তিন শতাধিক ছবিতে সম্পাদনার কাজ করেছেন তিনি। শিল্পে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ পেয়েছেন ৮ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।
চলচ্চিত্র অঙ্গনের প্রবীণরা বলছেন, মুজিবুর রহমান দুলুর পাশে এখন রাষ্ট্রের দাঁড়ানো উচিত—এটা কেবল একজন শিল্পীর জন্য নয়, বরং দেশের শিল্প-সংস্কৃতি চর্চার প্রতি সম্মান প্রদর্শনেরই অংশ।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ এমআরএইচ