শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৯:১২, ২৫ এপ্রিল ২০২৫
ছবি: সংগৃহীত
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহবুবের আদালতে তাকে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে গত ২৩ এপ্রিল গাইবান্ধা থেকে মেহেরাজকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জানা যায়, নিহত পারভেজ প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। গত ১৯ এপ্রিল বিকেল ৩টার দিকে পরীক্ষা শেষে বন্ধুদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপরীতে র্যানকন বিল্ডিংয়ের সামনে একটি খাবারের দোকানে দাঁড়িয়ে হাসাহাসি করছিলেন। তিনি। এ সময় পাশেই অবস্থান করছিলেন ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্সের দুই ছাত্রী। পারভেজ তাদের নিয়ে হাসাহাসি করেছে কি না সেটি জানতে আসেন মেহেরাজ ইসলাম (২০), আবু জহর গিফফারি পিয়াস (২০) ও মাহাথির হাসান (২০) নামের তিনজন। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে শুরু হয় বাকবিতণ্ডা।
শেষমেশ শিক্ষকদের মধ্যস্থতায় ঘটনার মীমাংসা হয় মীমাংসা হয়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হওয়ার পরই গেটের সামনে পারভেজের ওপর হামলা হয়। ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
ঘটনার পর নিহতের মামাতো ভাই হুমায়ুন কবীর বাদী হয়ে বনানী থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় আটজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ২৫ থেকে ৩০ জনকে আসামি করা হয়। নাম উল্লেখ করা আসামিরা হলেন—মেহেরাজ ইসলাম (২০), আবু জহর গিফফারি পিয়াস (২০), মো. মাহাথির হাসান (২০), সোবহান নিয়াজ তুষার (২৪), হৃদয় মিয়াজি (২৩), রিফাত (২১), আলী (২১) ও ফাহিম (২২)।
২১ এপ্রিল আল কামাল শেখ ওরফে কামাল, আলভী হোসেন জুনায়েদ ও আল আমিন সানির ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। তাদের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এরপর ২৩ এপ্রিল কামাল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। একইদিন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বনানী থানার কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব মো. হৃদয় মিয়াজির সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
পরদিন ২৪ এপ্রিল গ্রেপ্তার হন প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাহাথির হাসান। তিনিও আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।
এ পর্যন্ত মামলার একাধিক আসামিকে গ্রেপ্তার ও রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, পারভেজ হত্যার ঘটনায় আরও জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ঢাকা এক্সপ্রেস/এসএআর