শিরোনাম
রাঙামাটি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২০:১০, ২৫ এপ্রিল ২০২৫ | আপডেট: ২০:১২, ২৫ এপ্রিল ২০২৫
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. সুপ্রদীপ চাকমা । ছবি: ঢাকা এক্সপ্রেস
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) সকালে রাঙামাটি পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক ও বৌদ্ধ সংস্কৃতি বিকাশে করণীয় শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের উদ্যোগে এই কর্মশালা আয়োজন করা হয়।
এসময় পার্বত্য উপদেষ্টা আরো বলেন, আর এই এগিয়ে যাওয়ায় ক্ষেত্রে আমাদের কিছু দায়িত্ব নিতে হবে। সেগুলো হচ্ছে দেশটাকে অসাম্প্রদায়িক বানাতে হবে, সবাইকে সম অধিকার দিতে হবে। আপনাদের চিন্তা করার কোনও অবকাশ নাই যে বৃহৎ জনগোষ্ঠী আপনাদের পেছনে ফেলে রাখবে। তিনি আরো বলেন, প্রতিটা ধর্মেই অর্থনৈতিক দিক নির্দেশনা রয়েছে। বৌদ্ধ ধর্মও তার ব্যতিক্রম নয়। আজকের সেমিনারে বিষয়বস্তুতেও আর্থ-সামাজিক বিষয়টি অন্তর্ভূক্ত আছে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম ইস্যুতে উপদেষ্টা বলেন, পার্বত্য এলাকায় কৃষির সম্ভাবনা রয়েছে, তার কতটুকু আমাদের এলাকার মানুষ গ্রহণ করতে পেরেছে। কেন পারলো না সেটা আমাদের ভাবতে হবে। সরকারতো বরাদ্দ কম দেয় না। এবারও প্রায় ৫শ কোটি টাকা শুধুমাত্র পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয়কে দেয়া হয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দ আসে। তবুও কেন এলাকার উন্নয়ন হয় না সেটা ভেবে দেখতে হবে।
পাহাড়ের পর্যটন নিয়ে তিনি বলেন, অপার সম্ভাবনা থাকার পরও তার বিকাশ ঘটাতে পারিনি। এই দায় কার? ষাটের দশকে কাপ্তাই বাঁধের ফলে আমরা সবকিছু হারিয়ে ফেলেছি এই ধারণা নিয়ে থাকলে চলবে না। এই কাপ্তাই হ্রদ এখন সোনায় রূপান্তর হয়েছে। শুধু পরিকল্পনা করে কাজে লাগাতে হবে। সে কাজগুলো কেউ করছে না। পর্যটন ও মৎস্য খাত তো জেলা পরিষদের হাতে ন্যস্ত। তারা কোনও পরিকল্পনা গ্রহণ করে না। শুধু এই হ্রদকে পরিকল্পনামাফিক ব্যবহার করা গেলে তিন পার্বত্য জেলার অর্থনৈতিক চেহারায় বদলে যাবে।
তিনি বলেন, আমি চাই এই এলাকার উন্নয়ন পরিকল্পনা এখানকার মানুষই করুক। তাহলে সেটা টেকসই হবে। সমতলে বিশেষজ্ঞ এনে পরিকল্পনা করা হলে তা স্থায়িত্ব পাবে না। অতিতে এমন প্রচুন নজির রয়েছে।
কর্মশালায় আরও বক্তব্য রাখেন বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান ভবেশ চাকমা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ও বৌদ্ধ তত্ত্ববিদ সুকোমল বড়ুয়া, সাবেক পার্বত্য উপমন্ত্রী মনি স্বপন দেওয়ান, মং সার্কেল চিফ সাচিং প্রু চৌধুরী, অশোক কুমার চাকমাসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ এসএ