ঢাকা, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫

১২ বৈশাখ ১৪৩২, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম

Scroll
পোপের শেষকৃত্যে যোগ দিতে রোমে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা
Scroll
বিশেষ অভিযানে গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকাসহ সারাদেশে ১ হাজার ৬৪২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ
Scroll
ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা ‘সর্বাত্মক যুদ্ধে’ রূপ নিতে পারে: পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী
Scroll
ট্রাম্পের বর্ধিত শুল্ক বন্ধ করতে দেশটির ১২ রাজ্যে মামলা
Scroll
কারখানায় গ্যাস সরবরাহে স্থলভিত্তিক এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন করবে অন্তর্বর্তী সরকার: প্রেস সচিব
Scroll
পারভেজ হত্যার প্রধান আসামি মেহেরাজ ৫ দিনের রিমান্ডে
Scroll
‘জনতা পার্টি বাংলাদেশ’ নামে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ- চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন, মহাসচিব শওকত মাহমুদ
Scroll
সাবেক সংসদ সদস্য সালেহা খানম মারা গেছেন
Scroll
লাইন অব কন্ট্রোলে ভারত ও পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর মধ্যে গোলাগুলি
Scroll
গাজায় নিহত আরও ৬০ ফিলিস্তিনি, মারা গেলেন একই পরিবারের ১২ সদস্য
Scroll
ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া পর্যটক হত্যাকাণ্ড ছিল ‘পরিকল্পিত একটি ঘটনা’: পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ

যে কারণে ভ্যাটিকানের বাইরে সমাহিত হবেন পোপ ফ্রান্সিস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ১৯:৪৬, ২৫ এপ্রিল ২০২৫

যে কারণে ভ্যাটিকানের বাইরে সমাহিত হবেন পোপ ফ্রান্সিস

ছবি: সংগৃহীত

গত একশ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো পোপকে ভ্যাটিকানের বাইরে সমাহিত করা হচ্ছে। সাধারণত পোপদের দাফন করা হয় ভ্যাটিকান সিটির সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকার নিচে। তবে পোপ ফ্রান্সিস নিজের ইচ্ছায় সমাধিস্থ হতে যাচ্ছেন রোমের সান্তা মারিয়া মাজ্জোরে গির্জায়, যা ভ্যাটিকান থেকে কয়েক মাইল দূরে অবস্থিত। এই গির্জা ‘সেন্ট মেরি মেজর’ নামেও পরিচিত।

পোপ ফ্রান্সিস নিজের উইলে লিখে গেছেন, তার সমাধি হবে মাটির নিচে, সাধারণ রীতিতে, কোনো অলঙ্করণ ছাড়াই। সমাধিস্তম্ভে লেখা থাকবে শুধুই ‘ফ্রান্সিসকাস’। তার দাফনের সব খরচ একজন দানশীল ব্যক্তি বহন করবে বলে জানিয়েছে ভ্যাটিকান। 

শনিবার (২৬ এপ্রিল) সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার পর তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে নির্ধারিত সমাধিস্থলে। 

যদিও সমাধিটি হবে সাধারণ, তবে সান্তা মারিয়া মাজ্জোরে ব্যাসিলিকাটি (বিশেষ মর্যাদাসম্পন্ন গির্জা) নিজেই এক রাজকীয় স্থাপনা। এটি প্রাচীন রোমের সাতটি পাহাড়ের একটি, এস্কুইলাইনের চূড়ায় অবস্থিত। রোমের চারটি পোপীয় ব্যাসিলিকার অন্যতম এটি। এর ২৪৬ ফুট উঁচু বেল টাওয়ার শহরের সর্বোচ্চ বিন্দু হিসেবে পরিচিত।

চতুর্থ শতকে গির্জাটির উৎপত্তির সঙ্গে জড়িয়ে আছে একটি অলৌকিক কাহিনি। ধারণা করা হয়, তৎকালীন পোপ লিবারিয়াস ও এক ধনকুবেরের স্বপ্নে মাদার মেরি এসেছিলেন। তিনি তাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন একটি গির্জা নির্মাণ করতে, যার স্থান অলৌকিকভাবে ধরা দেবে। ৩৫৮ খ্রিস্টাব্দে গ্রীষ্মের প্রচণ্ড গরমে এস্কুইলাইনের চূড়ায় তুষারপাত ঘটে। সেই ঘটনা থেকেই গির্জাটি নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বর্তমানে প্রতি বছর ৫ আগস্ট এখানে 'মিরাকল অব দ্য স্নো' উৎসব পালিত হয়।

বর্তমান ব্যাসিলিকার নির্মাণ শুরু হয় ৪৩১ সালে, পোপ তৃতীয় সিক্সটাসের নির্দেশে। এর মোজাইকগুলোর ইতিহাস সেই সময়কার, আর ভেতরের কলামগুলো প্রাচীন রোমান স্থাপনা থেকে আনা। বাইরের কাঠামো নির্মিত হয় আঠারো শতকে।

সান্তা মারিয়া মাজ্জোরে গির্জাটি পোপ ফ্রান্সিসের কাছে ছিল বিশেষ প্রিয়। প্রায় প্রতি রবিবার তিনি এখানে যেতেন প্রার্থনায়। প্রতিটি বিদেশ সফরের আগে এবং পরে, এমনকি হাসপাতাল থেকে ফিরেও তিনি মাদার মেরির প্রতিকৃতির সামনে গিয়ে প্রার্থনা করতেন।

২০১৩ সালে পোপ হওয়ার পর নিজের প্রথম দিনটিও কাটিয়েছিলেন এই গির্জায়। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরেই তিনি প্রথমবারের মতো জানিয়ে দেন, এখানেই তিনি সমাহিত হতে চান।

তবে তিনিই প্রথম নন—এ পর্যন্ত আরও সাতজন পোপকে এই ব্যাসিলিকায় সমাহিত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে সর্বশেষ ছিলেন নবম ক্লেমেন্ট, ১৬৬৯ সালে। ভ্যাটিকানের বাইরে সর্বশেষ সমাহিত পোপ হলেন ত্রয়োদশ লিও, যিনি মারা যান ১৯০৩ সালে। তার পর থেকে সব পোপই শায়িত হয়েছেন সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকায়।

 

ঢাকা এক্সপ্রেস/এসএআর
 

আরও পড়ুন