শিরোনাম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১০:৫৯, ২৫ এপ্রিল ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ ধরনের পরিস্থিতির জন্য তারা সম্পূর্ণ প্রস্তুত। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য আমরা প্রস্তুত আছি। সতর্ক অবস্থানে রয়েছি। তবে ভারতের মতো অতিরিক্ত উত্তেজনা তৈরিতে আমরা আগ্রহী নই।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদি ভারত মনে করে, ‘টিট ফর ট্যাট’ নীতি এখানে কার্যকর হবে না, তবে সেটা তাদের বড় ভুল হবে। আমরা উভয়েই পরমাণু শক্তিধর দেশ। ভারতের আগ্রাসন পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে। তাই দুই দেশেরই সংযত থাকা উচিত।’
গত ২২ এপ্রিল, মঙ্গলবার বিকেলে জম্মু ও কাশ্মিরের পেহেলগাঁও এলাকার বৈসরণ তৃণভূমিতে পর্যটকদের ওপর হামলা চালায় লস্কর-ই-তৈয়বার উপশাখা 'দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট'। হামলাকারীরা স্বয়ংক্রিয় রাইফেল দিয়ে অন্তত ২৬ জন পুরুষ পর্যটককে গুলি করে হত্যা করে। এ ঘটনায় আহত হন আরও অনেকে।
২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর এটিই কাশ্মিরে সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
ভারত এই হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে তাৎক্ষণিকভাবে সিন্ধু নদের পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিতসহ বেশ কিছু কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক পদক্ষেপ গ্রহণ করে। পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে পাকিস্তান ভারতের জন্য নিজেদের স্থল ও আকাশসীমা বন্ধ করে দেওয়াসহ একাধিক ব্যবস্থা নেয়।
এ সময় নয়াদিল্লিতে চার দিনের সরকারি সফরে অবস্থান করছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্স।
পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তার ভাষায়, ‘হামলার স্থান ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে। সেখানে ভারতীয় সেনাবাহিনীর পাঁচ লাখ সদস্য মোতায়েন রয়েছে। এত নিরাপত্তার পরও যদি এমন ভয়াবহ হামলা হয়, তাহলে তা ভারতের নিরাপত্তা ব্যবস্থার বড় ব্যর্থতা।’
তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘এই হামলা কি পাকিস্তানের কোনো লাভের জন্য হয়েছে? এমন সময়ে যখন একজন মার্কিন শীর্ষ কর্মকর্তা ভারতে অবস্থান করছেন? ভারতের উচিত নিজের ঘরে তাকানো এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতা নিয়ে আত্মসমালোচনায় যাওয়া।’