ঢাকা, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫

১২ বৈশাখ ১৪৩২, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৬

‘কাশ্মিরে হামলা “সাজানো” ঘটনা’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ০৯:৫৯, ২৫ এপ্রিল ২০২৫ | আপডেট: ১৩:৫৭, ২৫ এপ্রিল ২০২৫

‘কাশ্মিরে হামলা “সাজানো” ঘটনা’

ছবিঃ সংগৃহীত

ভারত-শাসিত কাশ্মিরে সাম্প্রতিক বন্দুক হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দুই পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্র—ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে। হামলার পর ভারতের পক্ষ থেকে পাকিস্তানের দিকে অভিযোগের তীর ছোঁড়া হলেও, পাকিস্তান এই ঘটনাকে “সাজানো” বা “ফলস ফ্ল্যাগ” অপারেশন বলে অভিহিত করেছে।

শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেন, “আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি এটি একটি পরিকল্পিত হামলা। নিজেদেরই ঘটানো এই হামলার দায় এখন পাকিস্তানের ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা চলছে।”

তবে তিনি এই দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করেননি।

আসিফ আরও বলেন, “কাশ্মিরে যে হামলা হয়েছে, তার সঙ্গে পাকিস্তানের কোনো সশস্ত্র গোষ্ঠীর যোগসূত্র নেই। কাশ্মিরে যা হচ্ছে, তাতে আমাদের কোনো প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সম্পৃক্ততা নেই।”

ভারতের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে তিনি সাফ জানান, “ভারত সরকার যে দাবি করছে, আমি তা জোরালোভাবে নাকচ করছি।”

পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ইসহাক দার এক বেসরকারি টিভি চ্যানেলে মন্তব্য করেন, “ভারতের প্রতিক্রিয়া শিশুসুলভ এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন। তারা অতীতের মতো এবারও পাকিস্তানকে দোষারোপ করছে।” তিনি আরও যোগ করেন, “আমরা বৈঠকে ভারতের এই অভিযোগের উপযুক্ত জবাব দেব।”

উল্লেখ্য, ১৯৮৯ সাল থেকে ভারত-শাসিত কাশ্মিরে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন চলছে। বহু কাশ্মিরি মুসলিম বিদ্রোহীদের সমর্থন দিয়ে থাকেন এবং তারা চায় অঞ্চলটি হয় পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্ত হোক, নয়তো স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করুক।

ভারত এসব আন্দোলনকে “সন্ত্রাসবাদ” হিসেবে দেখলেও, পাকিস্তানের দাবি এটি একটি “বৈধ স্বাধীনতাকামী সংগ্রাম”। এই দীর্ঘ সংঘাতে এখন পর্যন্ত হাজার হাজার সাধারণ নাগরিক, বিদ্রোহী এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য প্রাণ হারিয়েছেন।

ঢাকা এক্সপ্রেস/ বিডি

এ সম্পর্কিত খবর

আরও পড়ুন