শিরোনাম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯:৪৫, ২৫ এপ্রিল ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার ভোর থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত গাজাজুড়ে ইসরায়েলের একের পর এক হামলায় প্রাণহানি ঘটে। এরমধ্যে উত্তর গাজার জাবালিয়া এলাকায় একই পরিবারের ১২ সদস্য নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্স ও স্থানীয় চিকিৎসকরা।
আল জাজিরার পাশাপাশি বার্তাসংস্থা আনাদোলুও জানায়, ইসরায়েলি বিমান হামলায় আহত হয়েছেন আরও ১৫২ জন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত সংঘাতে আহতের সংখ্যা পৌঁছেছে ১ লাখ ১৭ হাজার ২৪৮ জনে। বহু মানুষ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় পড়ে থাকলেও উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।
উল্লেখ্য, টানা ১৫ মাসের সামরিক অভিযানের পর আন্তর্জাতিক চাপের মুখে চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ইসরায়েল। তবে গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার নিয়ে মতানৈক্যের জেরে মার্চ মাসের তৃতীয় সপ্তাহে আবারও বোমাবর্ষণ শুরু করে তারা।
এই নতুন দফায়, ১৮ মার্চ থেকে শুরু হওয়া হামলায় নিহত হয়েছে আরও প্রায় ২ হাজার ফিলিস্তিনি এবং আহত হয়েছে ৫ হাজার ২০০ জনেরও বেশি। ইসরায়েলি হামলা কার্যত যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে লঙ্ঘন করেছে।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, এই হামলার কারণে গাজার ৮৫ শতাংশ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন এবং অন্তত ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে।
এর আগে, ২০২৪ সালের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। একইসঙ্গে, আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার মামলাও মোকাবিলা করছে ইসরায়েল।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ বিডি