শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৫:১৫, ২৫ এপ্রিল ২০২৫ | আপডেট: ১৫:৩৬, ২৫ এপ্রিল ২০২৫
শুক্রবার সকালে রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে দলটির আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে দলের অন্যান্য নেতৃবৃন্দের নাম ও নিরাপদ সড়ক নিয়ে লড়ে যাওয়ার কথা তুলে ধরেন ইলিয়াস কাঞ্চন। জানান, নিরাপদ সড়কের সঙ্গে যুক্ত থেকে তিনি যেভাবে সততার সঙ্গে দেশের মানুষের জন্য কাজ করেছেন ঠিক তেমনিভাবে এই রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে দেশের জন্য ও দেশের মানুষের জন্য সততার সঙ্গে কাজ করতে চান।
আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘৩২ বছর ধরে আমি নিরাপদ সড়কের আন্দোলন করেছি। এই ৩২ বছরে যে কয়টা সরকারকে আমি পেয়েছি এই কাজে সেই সরকারের কাছে কোনো ধরনের সাহায্য সহযোগিতা পাইনি। না পাওয়ার জন্য আমার নিরাপদ সড়ক আন্দোলন ৩২ বছরেও বাস্তবায়ন করতে পারিনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই ৩২ বছরে আমি দেশে বিদেশে বিভিন্ন সেমিনারে অংশগ্রহণ করেছি। এতে আমি এটা বুঝতে পেরেছি যে সরকারের সহযোগিতা ছাড়া, রাজনৈতিক সদিচ্ছা ছাড়া এটিকে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না।’
এসময় নিরাপদ সড়ক নিয়ে আন্দোলনে অনেকটা ব্যর্থ হয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, “নিরাপদ সড়কের সঙ্গে যুক্ত থেকে যেভাবে সততার সঙ্গে দেশের মানুষের জন্য কাজ করেছি ঠিক তেমনিভাবে আমি এই রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে দেশের জন্য ও দেশের মানুষের জন্য সততার সঙ্গে কাজ করতে চাই।”
চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন, মহাসচিব বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ।
নির্বাহী চেয়ারম্যান ও মুখপাত্র গোলাম সারোয়ার মিলন। ভাইস চেয়ারম্যান- রফিকুল হক হাফিজ, অ্যাডভোকেট এবিএম ওয়ালিউর রহমান, রেহানা সালাম, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, এমএ ইউসুফ, সৈয়দা আজিজুন নাহার, গোলাম মেহরাজ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) কামরুল ইসলাম, নির্মল চক্রবর্তী।
দলে আরও রয়েছেন- সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এম আসাদুজ্জামান, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট এবিএম রফিকুল হক তালুকদার রাজা, আল আমিন রাজু, অ্যাডভোকেট শিউলি সুলতানা রুবী, নাজমুল আহসান, জামাল উদ্দিন, শাহাদত হোসেন, আসাদুজ্জামান ও জাকির হোসেন লিটু।
উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্যরা হলেন- শাহ মুহাম্মদ আবু জাফর, ইকবাল হোসেন মাহমুদ, ডা. ফরহাদ হোসেন মাহবুব, জাফর ইকবাল সিদ্দিকী, তৌহিদা ফারুক ও মামুনুর রশিদ।
সমন্বয়কারী নূরুল কাদের সোহেল, সহ-সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর, জাকির হোসেন ও ফাতেমা বেগম।
উল্লেখ্য, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর এ বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সাড়ে ছয় মাসে দেশে প্রায় ২২টি নতুন রাজনৈতিক দল আত্মপ্রকাশ করেছে। এই প্রেক্ষাপটে ‘জনতা পার্টি বাংলাদেশ’ আজ থেকে একটি নতুন রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে প্রবেশ করছে।