শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৪৯, ১১ এপ্রিল ২০২৫ | আপডেট: ১২:৫৮, ১১ এপ্রিল ২০২৫
সিদ্দিকী নাজমুল আলম ও নসরুল হামিদ বিপু
ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া সিদ্দিকী নাজমুল আলমের পুরো পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো-
যেই শা*রা লুটপাটপাট করে দলটাকে শেষ করল অতিরঞ্জিতভাবে, অতিকথনে, টেলিসামাদ স্টাইলে রাজনীতিকে জোকারিতে পরিণত করল, তাদের বিরুদ্ধে লিখলেই একদলের জ্বালা ওঠে এভাবে যে—এখন ঐক্যের সময় এখন এগুলো লেখা যাবে না, আবার ক্ষমতায় গেলে এসব নিয়ে আলোচনা করা যাবে। মোটকথা তাদের কথা হলো আমরা তাদের পক্ষে লিখে তাদের সব হালাল করব আমরা। আমাদের পরিবার জীবন দেবে আর তারা সুটেট-বুটেড হয়ে আবার আমাদের নেত্রীর চারপাশ দখলে রাখবে।
অনেকদিন নিঃশ্বাস বন্ধ রেখে চুপ থাকলাম, কিন্তু আমার মাথায় আসে না আমাদের নেত্রী ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছানোর লক্ষে বিদ্যুৎ সেক্টরে অভূতপূর্ব উন্নতিসাধন করেছেন, কিন্তু আমাদের সরকারের সময়ের চাইতে এবারের রমজানে তেমন লোডশেডিং হয়নি। তার মানে হলো প্রধানমন্ত্রীর চোখ ফাঁকি দিয়ে বিদ্যুৎ চোর বিপু এবং কিছু বিদ্যুৎ চোর আমলাদের সমন্বয়ে কৃত্রিম লোডশেডিং তৈরি করত এবং নিজেদের পছন্দের পাওয়ার প্ল্যান্ট ব্যবসায়ীদের রমরমা একচেটিয়া ব্যবসা করার সুযোগ করে দিয়ে সিন্ডিকেট করে কমিশন কামাত।
বিদ্যুৎ চোর বিপু বড় ব্যবসায়ী বংশের রাজনৈতিক নেতার ছেলে ছিল, আমাদের নেত্রী ভালো চিন্তা করেছিল, মনে করেছিল, বড় লোকের ছেলে দায়িত্ব দিলে দুর্নীতি করবে না। কিন্তু না, নেত্রীর বিশ্বাস ভেঙে দিয়ে সর্বকালের সেরা বিদ্যুৎ চোরে পরিণত হয়েছে বিপু।
বিপু একটা চোর চোর চোর, ওর বউ চোর ভাই চোর সন্তানেরা চোর। ওদের গত ১০ বছরের চলাচল দেখলে মনে হয় বিপু রাজা আর আমরা প্রজা। বিপুর সমস্ত ব্যবসা বাণিজ্য বিএনপি-জামাতের নেতারা অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে দেখাশোনা করছে। বিপুরা ক্ষমতা এবং টাকার কারণে নিজেদের ঈশ্বর মনে করতো চরিত্রহীন লম্পট পরিবার বিপুর পরিবার। ওই পরিবারের পুরুষদের চাইতে নারীরাও পিছিয়ে নেই। দে আ্যার পার্ভার্টেড বাই সোশ্যালি এন্ড সেক্সুয়ালি। বিপু চোর, বিপু চোর, বিপু চোর।
এই চোরের চুরির কারণে এবং বিপুর কেরামতিতে রাজনীতিকে রাজপথ থেকে এসি রুমে চলে গেছে ফাইভ স্টারে নিয়ে গেছে, রাজনীতিকে ছাত্র যুবক শ্রমিক থেকে কর্পোরেটে নিয়ে গেছে রাতের বেশ্যা*দের কাছে নিয়ে গেছে।
ফলশ্রুতিতে আমরা ধ্বংস হয়েছি। আর মুসলমানরা ফিলিস্তিনিদের রক্ষার জন্য যেমন আবাবিল পাখির অপেক্ষায় বসে আছে, আমরা আওয়ামী লীগের লোকজন শক্তিশালী কিংবা প্রতিবেশী রাষ্ট্রের অপেক্ষায় বসে আছি, যে তারা আমাদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে।
এলাকার রাজনীতিতেও বিপু জিরো, পুরো রাজনীতিটা করেন ঐখানে শাহীন চেয়ারম্যান। অত্যন্ত জনপ্রিয় কর্মীবান্ধব দুঃসময়ের শাহীন চেয়ারম্যানের সাজানো বাগানের মালিক হলো বিপু। অথচ শাহীন চেয়ারম্যানের মতো পুরোনো মানুষের সাথে উপজেলার সাধারণ সম্পাদক বানিয়েছে বিপুর ব্যক্তিগত সহকারী এক ইয়ো ইয়ো বয়কে।
বিপু কিন্তু তার ছেলেমেয়েদের লাক্সারিয়াস লাইফ লিড করাচ্ছে, কিন্তু আমি আপনি আমাদের ছেলেমেয়েদের মৌলিক চাহিদা পূরণ করাতে হিমশিম খাচ্ছি। আমি সরকারি দলে থাকতেও সমালোচনা করেছি, নিজের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের জবাব দিয়েছি, বড় বড় রথী-মহারথীদের সাথেও অন্যায় ইস্যুতে ছাড় দেইনি, দিবোও না।
নেত্রী জীবিত যতদিন থাকবেন ততদিন রাজনীতি করার চেষ্টা করব। আমার স্পষ্ট অবস্থান থেকে নেত্রী যেদিন থাকবে না সেদিন থেকে আর রাজনীতিও করব না।
নেত্রী সংসদে দাঁড়িয়ে অনেকবারই বলেছেন এই আওয়ামী লীগে শেখ হাসিনা ছাড়া সবাইকে কেনা যায়। ব্যক্তিগতভাবে এটা আমি শতভাগ বিশ্বাস করি এবং মানি।