শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৪০, ২৫ এপ্রিল ২০২৫ | আপডেট: ১৩:৫৯, ২৫ এপ্রিল ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
সাদমা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বিজিএমইএর সাবেক সহসভাপতি নাসির উদ্দিন বলেন, ‘রাত ৮টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত কোনোভাবে চালালেও দিনভর গ্যাস না থাকায় উৎপাদন কমে গেছে ৬০ টন থেকে ১০ টনে। ব্যয় ঠিকই রয়ে গেছে, কিন্তু উৎপাদন ও রপ্তানি ব্যাহত।’
স্প্যারো অ্যাপারেলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাওন ইসলাম জানান, দিনভর ২-৩ ঘণ্টার বেশি গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে না। অনেকে বাধ্য হয়ে ডিজেল ব্যবহার করছেন, যা গ্যাসের তুলনায় তিন গুণ ব্যয়বহুল ও কম উৎপাদনক্ষম।
প্যাসিফিক ফাইবার লিমিটেডের এমডি আবু রায়হান বলেন, সংকটে পড়া অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। বিকল্প পথে উৎপাদন চালালেও আন্তর্জাতিক বাজারে টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে।
বিজিএমইএর তথ্য অনুযায়ী, গাজীপুরে ৭৪৩টি সদস্যভুক্ত পোশাক কারখানা রয়েছে। সঙ্গে বিকেএমইএর ১২৪টি ও বিটিএমএর ১২৮টি কারখানাও রয়েছে।
তিতাস গ্যাসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গাজীপুরে দৈনিক গ্যাস চাহিদা ৬০০-৭০০ মিলিয়ন ঘনফুট হলেও সরবরাহ হচ্ছে সর্বোচ্চ ৪৫০ মিলিয়ন ঘনফুট। ফলে চাপে ঘাটতি দেখা দিচ্ছে।
তিতাস গ্যাসের উপমহাব্যবস্থাপক সুরুজ আলম বলেন, ‘চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম হওয়ায় অনেক এলাকায় গ্যাসের চাপও কমে গেছে। আমরা জাতীয়ভাবে সমন্বয় করে পরিস্থিতি উন্নয়নের চেষ্টা করছি।’
শিল্প সংশ্লিষ্টরা দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। তাদের মতে, দেশের প্রধান রপ্তানিখাত রক্ষা ও লক্ষাধিক শ্রমিকের কর্মসংস্থান টিকিয়ে রাখতে হলে এখনই পদক্ষেপ জরুরি।