ঢাকা, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫

১২ বৈশাখ ১৪৩২, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম

Scroll
পোপের শেষকৃত্যে যোগ দিতে রোমে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা
Scroll
বিশেষ অভিযানে গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকাসহ সারাদেশে ১ হাজার ৬৪২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ
Scroll
ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা ‘সর্বাত্মক যুদ্ধে’ রূপ নিতে পারে: পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী
Scroll
ট্রাম্পের বর্ধিত শুল্ক বন্ধ করতে দেশটির ১২ রাজ্যে মামলা
Scroll
কারখানায় গ্যাস সরবরাহে স্থলভিত্তিক এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন করবে অন্তর্বর্তী সরকার: প্রেস সচিব
Scroll
পারভেজ হত্যার প্রধান আসামি মেহেরাজ ৫ দিনের রিমান্ডে
Scroll
‘জনতা পার্টি বাংলাদেশ’ নামে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ- চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন, মহাসচিব শওকত মাহমুদ
Scroll
সাবেক সংসদ সদস্য সালেহা খানম মারা গেছেন
Scroll
লাইন অব কন্ট্রোলে ভারত ও পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর মধ্যে গোলাগুলি
Scroll
গাজায় নিহত আরও ৬০ ফিলিস্তিনি, মারা গেলেন একই পরিবারের ১২ সদস্য
Scroll
ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া পর্যটক হত্যাকাণ্ড ছিল ‘পরিকল্পিত একটি ঘটনা’: পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ

কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলা

পাকিস্তানের সম্পৃক্ততার প্রমাণ চাইলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ১৪:১১, ২৫ এপ্রিল ২০২৫ | আপডেট: ১৪:৩৫, ২৫ এপ্রিল ২০২৫

পাকিস্তানের সম্পৃক্ততার প্রমাণ চাইলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার

পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার। ছবি: ন্যাশনাল হেরাল্ড

কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় পাকিস্তানের জড়িত থাকার অভিযোগ নিয়ে ভারতের হাতে যদি কোনো প্রমাণ থাকে, তবে তা প্রকাশ করার আহ্বান জানিয়েছেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার।  

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের এক বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ইসহাক দার। তিনি বলেন, ‘যদি পেহেলগামের ঘটনায় পাকিস্তানের সম্পৃক্ততার কোনো প্রমাণ থাকে, তবে তা আমাদের ও বিশ্ববাসীর সামনে উপস্থাপন করুন।’  

সংবাদ সম্মেলনে তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ। তিনি বলেন, ‘পেহেলগামের ঘটনায় ভারত সরকার সরাসরি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অভিযোগ না তুললেও দেশটির গণমাধ্যম ও একাধিক মহল পাকিস্তানকে দায়ী করছে।’  

গত মঙ্গলবার ভারত–নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরের পর্যটনকেন্দ্র পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত হন, যাদের অধিকাংশই পর্যটক। আহত হয়েছেন আরও ১৭ জন। এই হামলার পর দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে আবারও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।  

ভারতীয় কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের খবরে দাবি করা হয়, ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ)’ নামের সশস্ত্র সংগঠন হামলার দায় স্বীকার করেছে। ২০১৯ সালে আত্মপ্রকাশ করা এই সংগঠনটিকে পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈয়বার একটি শাখা হিসেবে বিবেচনা করে ভারত।  

হামলার পরদিন বুধবার ভারতের পক্ষ থেকে পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা বাতিল, বাণিজ্য স্থগিত এবং আকাশপথ ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞাসহ পাঁচটি পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এর পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় বৃহস্পতিবার পাকিস্তানও ভারতের নাগরিকদের ভিসা বাতিল, আকাশসীমা বন্ধ এবং বাণিজ্য স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয়।  

ভারতের অন্যতম সিদ্ধান্ত ছিল ঐতিহাসিক সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিতের ঘোষণা। এর জবাবে পাকিস্তান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, চুক্তি অনুযায়ী প্রাপ্ত পানির প্রবাহ বন্ধ বা অন্যদিকে নেওয়ার যেকোনো প্রচেষ্টা ‘যুদ্ধ ঘোষণা’ হিসেবে বিবেচিত হবে। দেশের পানিস্বত্ব রক্ষায় তারা সর্বশক্তি প্রয়োগেরও ঘোষণা দিয়েছে দেশটি।

ঢাকা এক্সপ্রেস/এসএআর 

আরও পড়ুন