শিরোনাম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬:৩৪, ২৫ এপ্রিল ২০২৫ | আপডেট: ১৭:৫৪, ২৫ এপ্রিল ২০২৫
কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। বিরোধীপক্ষে ছিলেন রাহুল গান্ধি, মল্লিকার্জুন খাড়গেদের মতো সিনিয়র নেতারা।
বৈঠকে বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধি, মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং আম আদমি পার্টির সাংসদ সঞ্জয় সিং সহ বিরোধী শিবিরের একাধিক নেতা জানতে চান, বৈসরনের ওই পর্যটনকেন্দ্রে কেন কোনও সেনা জওয়ানকে মোতায়েন করা ছিল না।
জবাবে সরকার পক্ষ জানায়, সাধারণত অমরনাথ যাত্রা শুরু হওয়ার কিছুদিন আগে থেকে ওই এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা শুরু হয়। সাধারণত জুন মাস নাগাদ সেই কাজ শুরু হয়। কিন্তু এ বছর স্থানীয় প্রশাসন অথবা পুলিশকে কিছু না জানিয়েই স্থানীয় ট্যুর অপারেটররা পর্যটকদের গত ২০ এপ্রিল থেকে বৈসরনের ওই স্পটে পর্যটকদের নিয়ে যেতে শুরু করে বলে অভিযোগ।
এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনও অন্ধকারে ছিল। যার ফলে বৈসরনের ওই স্পটে নিরাপত্তা বাহিনী জওয়ানদের মোতায়েন করা সম্ভব হয়নি বলেই সরকার পক্ষ দাবি করে।
এ বৈঠকে সব বিরোধী দলই একমত হয়, যে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সরকারকে সম্পূর্ণ সমর্থন করা হবে। তবে বিরোধীরা কেন্দ্রীয় শাসক দল বিজেপিকে ‘হিন্দু-মুসলিম ইস্যু’ বানানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানায়।
গত ২২ এপ্রিল বিকেলে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামের বৈসরন উপত্যকায় পর্যটকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হন ২৬ জন। এই হামলার দায় স্বীকার করেছে পাকিস্তানভিত্তিক সন্ত্রাসী সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার স্থানীয় শাখা দ্য রেসিস্ট্যান্স ফ্রন্ট।
এদিকে, উত্তেজনার মধ্যেই জম্মু ও কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলওসি) ভারত ও পাকিস্তানের সেনা সদস্যদের মধ্যে বৃহস্পতিবার গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে কেউ হতাহত হননি।