শিরোনাম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১১:২৬, ২৫ এপ্রিল ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
এর আগে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরায়েলের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চেষ্টার অংশ হিসেবে রিয়াদের সঙ্গে একটি প্রতিরক্ষা চুক্তি চূড়ান্ত করার উদ্যোগ নেন। তবে শেষ পর্যন্ত তা ব্যর্থ হয়। এবার ট্রাম্প প্রশাসন বড় পরিসরে অস্ত্র বিক্রিকেই অগ্রাধিকার দিয়ে নতুন প্রস্তাবের জন্য তৎপরতা চালাচ্ছে।
বাইডেনের পরিকল্পনায় চীনের কাছ থেকে অস্ত্র কেনা বন্ধ করা এবং বেইজিংয়ের বিনিয়োগ সীমিত করার বিনিময়ে সৌদি আরবকে উন্নত মার্কিন অস্ত্র সরবরাহের কথা বলা হয়েছিল। ট্রাম্প প্রশাসনের প্রস্তাবেও এমন কোনো শর্ত আছে কি না, তা নিশ্চিত করতে পারেনি রয়টার্স।
হোয়াইট হাউস এবং সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের একজন কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, "প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সময়ে সৌদি আরবের সঙ্গে আমাদের প্রতিরক্ষা সম্পর্ক আরও মজবুত হয়েছে। তাদের প্রতিরক্ষা চাহিদা পূরণে আমরা যৌথভাবে কাজ করে যাব।"
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, লকহিড মার্টিন সৌদি আরবকে সি-১৩০ পরিবহন বিমান, ক্ষেপণাস্ত্র ও রাডারসহ উন্নত অস্ত্র সরবরাহ করতে পারে। রেথিয়ন টেকনোলজিস (বর্তমানে আরটিএক্স), বোয়িং, নর্থরপ গ্রুমম্যান এবং জেনারেল অ্যাটমিক্স—এই বড় বড় মার্কিন প্রতিরক্ষা কোম্পানিগুলোও চুক্তিতে যুক্ত থাকবে।
এই চুক্তি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা চলছে। একটি সূত্র জানায়, জেনারেল অ্যাটমিক্সের তৈরি এমকিউ-৯বি সি গার্ডিয়ান ড্রোনসহ বিভিন্ন যুদ্ধবিমানের বিষয়ে ২০ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে।
তিনটি সূত্র জানায়, প্রতিরক্ষা সংস্থাগুলোর কয়েকজন শীর্ষ নির্বাহী ট্রাম্পের সফরসঙ্গী হিসেবে থাকবেন।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে প্রেসিডেন্ট থাকার সময় ট্রাম্প সৌদি আরবের সঙ্গে ১১০ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তবে ২০১৮ সালের মধ্যে মাত্র ১৪.৫ বিলিয়ন ডলারের সরবরাহ সম্পন্ন হয়। সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যার পর কংগ্রেস চুক্তিগুলো নিয়ে প্রশ্ন তোলে এবং ২০২১ সালে বাইডেন প্রশাসন সৌদি আরবের কাছে আক্রমণাত্মক অস্ত্র বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন এবং ২০২৩ সালে হামাসের হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান কিছুটা নমনীয় হয় এবং ২০২৪ সালে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়।
সূত্রমতে, সফরকালে সৌদি আরবের দীর্ঘদিনের আগ্রহ এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান নিয়ে আলোচনা হতে পারে। তবে সফরের সময়ই কোনো চুক্তি স্বাক্ষরের সম্ভাবনা কম। কারণ, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে সব সময় আরব দেশগুলোর তুলনায় উন্নত অস্ত্র সরবরাহের নিশ্চয়তা দেয়। ইসরায়েল ইতোমধ্যে এফ-৩৫ ব্যবহারে এগিয়ে রয়েছে এবং একাধিক স্কোয়াড্রনও গড়ে তুলেছে।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ বিডি