শিরোনাম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫:১৪, ২৫ এপ্রিল ২০২৫ | আপডেট: ১৫:২৭, ২৫ এপ্রিল ২০২৫
ছবি: ইন্ডিয়া টুডে
মঙ্গলবারের (২২ এপ্রিল) ওই হামলার সময় ঘটনাস্থলে প্রায় এক হাজার পর্যটক এবং তাঁদের সেবা দেওয়া প্রায় ৩০০ স্থানীয় বাসিন্দা উপস্থিত ছিলেন। ঘন পাইনবন ও সবুজ পাহাড়ে ঘেরা বৈসরান উপত্যকা স্থানীয়ভাবে ‘মিনি সুইজারল্যান্ড’ নামে পরিচিত।
তিনজন বন্দুকধারী এই হামলায় অংশ নেন। ভারতে গত দুই দশকের মধ্যে এটিকে সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানান, হামলাকারীরা ভারী অস্ত্র নিয়ে তৃণভূমির চারপাশে অবস্থান করছিল। হামলার সময় তারা প্রায় ৬০টির কাছাকাছি গুলি ছোড়ে। তবে লক্ষ্যবস্তু ছিল শুধু পুরুষরা। নারী ও শিশুদের দিকে গুলি ছোড়া হয়নি। হামলা থেকে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের বক্তব্যের ভিত্তিতেই এ তথ্য জানান তিনি। গণমাধ্যমে কথা বলার অনুমতি না থাকায় তার নাম প্রকাশ করেনি রয়টার্স।
হামলায় বাবা ও চাচাকে হারিয়েছেন মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা আসাবরী জগদালে। স্থানীয় গণমাধ্যমকে তিনি জানান, গুলি শুরু হলে পর্যটকদের সঙ্গে তার পরিবারও কাছের একটি তাঁবুতে আশ্রয় নেন। পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর সন্ত্রাসীরা তাঁর বাবার মাথা, কানের পেছনে ও পিঠে গুলি চালায়। তার চাচাকে চার থেকে পাঁচটি গুলি করা হয়।
হামলায় বেঁচে যাওয়া আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হিন্দু শিক্ষক দেবাশীষ ভট্টাচার্য জানান, হামলাকারীরা চলে যাওয়ার পর তারা জঙ্গলের ভিতর দিয়ে প্রায় দুই ঘণ্টা হেঁটে নিরাপদ স্থানে পৌঁছান।
নিরাপত্তা বাহিনীর একটি সূত্র জানায়, বন্দুকধারীদের পরনে ছিল ঐতিহ্যবাহী লম্বা কুর্তা ও ঢিলে পায়জামা। তাদের একজনের শরীরে বাঁধা ছিল একটি ক্যামেরা। বৈসরান উপত্যকার মোট তিনটি স্থানে গুলি চালানো হয়, যার মধ্যে ছিল খোলা মাঠের খাবারের দোকান ও জঙ্গলের ভিতর পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকা।
স্ত্রী প্রিয়দর্শিনী ও ৯ বছর বয়সী ছেলেকে নিয়ে বৈসরান ঘুরতে এসেছিলেন ওড়িশা রাজ্যের পর্যটক প্রশান্ত সাতপথি। চার দিনের সফরের শেষ দিনেই এই হামলার মুখে পড়েন তারা। স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রিয়দর্শিনী জানান, জিপলাইন রাইড শেষ করার পরপরই একটি গুলি তার স্বামীর মাথায় লাগে। সঙ্গে সঙ্গে লুটিয়ে পড়েন সাতপথি।
হামলায় নিহত ২৬ জনের মধ্যে ছিলেন পেহেলগামের টাট্টু ঘোড়াচালক আদিল হুসেন শাহ। জম্মু ও কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ বুধবার তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। পরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, হামলা ঠেকানোর চেষ্টা করে শাহ সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন। হয়তো বন্দুক কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন, সে কারণেই তাকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়।
ঢাকা এক্সপ্রেস/এসএআর