ব্রেকিং
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০৭, ২২ জুলাই ২০২৫ | আপডেট: ১০:৩০, ২২ জুলাই ২০২৫
ছবি: সংগৃহীত
মানুষের আরো এগিয়ে শিশুদের জীবন রক্ষার নেশায় পেয়ে বসল তাকে। একে একে ক্লাসরুম থেকে বের করে আনেন অনেককে। এদিকে খেয়াল নেই নিজেও পুড়ছেন। আসলে ঘোরে পেয়ে বসেছিল তাকে।
তিনি সোমবার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এ যেন জীবনযুদ্ধে হেরেও মহানুভবতায় জিতে যাওয়া।
ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ওই শিক্ষিকার শরীরের ১০০ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসার পরেই আইসিইউতে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
জানা যায়, শিক্ষার্থীদের উদ্ধারের পর নিজেই ঠিকঠাক বের হতে পারেননি মেহেরীন চৌধুরী। ঘটনাস্থলে তার শরীর মারাত্মক দগ্ধ হয়। পরে তাকে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুর্ঘটনার মুহূর্তে দ্রুত শিক্ষার্থীদের ক্লাস রুম থেকে বের করে আনেন মেহেরীন চৌধুরী। পরে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
উদ্ধার হওয়া মাইলস্টোনের এক অভিভাবক বলেন, সেনাবাহিনী বলেছে এই শিক্ষিকার কারণে ১৫-২০ জন শিক্ষার্থী বেঁচে গেছে।
মেহেরীন চৌধুরীর ভাই মুনাফ মুজিব চৌধুরী এক ফেসবুক পোস্টে বোনের মৃত্যু সংবাদ জানিয়ে লেখেন, মেহেরীন আপু আর আমাদের মাঝে নেই। আমার বড় বোন, যিনি আমাকে মায়ের মতো করে বড় করেছেন।
মেহেরীনের স্বামী মনসুর হেলাল বলেন, মাহরিনের পা থেকে মাথা পর্যন্ত সব ঝলসে গিয়েছিল। ডাক্তার শুরুতে বলেছিলেন কমপক্ষে ৮০ শতাংশ বার্ন, তবে আমার মনে হয়েছে ১০০ শতাংশ দগ্ধ।
আইসিইউতে নেওয়ার আগে স্বামীর সঙ্গে কথা বলেন মেহেরীন। এ বিষয়ে মনসুর হেলাল বলেন, মেহেরীন বলেছেন- স্কুল ছুটির পর বাচ্চাদের নিয়ে বের হচ্ছিলেন। ঠিক তখনই গেটের সামনে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। নিজে দগ্ধ হলেও সেসময় তিনি বাচ্চাদের বাঁচানোর চেষ্টা করেন।
ঢাকা এক্সপ্রেস/আরইউ