ঢাকা, বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫

৮ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৭ মুহররম ১৪৪৭

শিরোনাম

Scroll
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিমান বাহিনী প্রধানের সাক্ষাৎ
Scroll
বিমান বিধ্বস্তে প্রকৃত সংখ্যা নির্ণয় করে তালিকা প্রস্তুত করতে কমিটি গঠন মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের
Scroll
শোকের সময় শান্ত ও সংহত থাকুন, জনগণের উদ্দেশে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান
Scroll
শক্তিশালী পাসপোর্ট তালিকায় সিঙ্গাপুর শীর্ষে, বাংলাদেশ ৯৪তম
Scroll
এইচএসসির ২২ ও ২৪ জুলাইয়ের স্থগিত পরীক্ষা একদিনে হবে: শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার
Scroll
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চিরনিদ্রায় শায়িত মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক মাসুকা বেগম নিপু
Scroll
টি-টোয়েন্টি সিরিজে পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করতে চান বাংলাদেশি ব্যাটার জাকের আলী
Scroll
হেভি মেটাল কিংবদন্তি ওজি ওসবার্ন আর নেই

ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির শেষ বার্তায় যা বলেন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০:০৬, ২৩ জুলাই ২০২৫

ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির শেষ বার্তায় যা বলেন

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার আগমুহূর্তেও কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন বিমানটির পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ইসলাম সাগর। কন্ট্রোল রুমকে তিনি বলেছিলেন, ‘বিমান ভাসছে না...মনে হচ্ছে নিচে পড়ছে।’

কুর্মিটোলা পুরাতন বিমানঘাঁটি থেকে সোমবার (২০ জুলাই) বেলা সোয়া ১টার দিকে এফটি-৭ যুদ্ধবিমান নিয়ে একক উড্ডয়ন (সলো ফ্লাইট) করেন তৌকির। এটি ছিল তার প্রথম সলো ফ্লাইট; যা বৈমানিক প্রশিক্ষণের সর্বশেষ ও সবচেয়ে জটিল ধাপ। এ পর্যায়ে পাইলটকে কোনো সহকারী, নেভিগেটর বা প্রশিক্ষক ছাড়াই একা বিমান পরিচালনা করতে হয়।

একাধিক সূত্রে জানা গেছে, উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যেই বিমানটি উত্তরা, দিয়াবাড়ি, বাড্ডা, হাতিরঝিল ও রামপুরার আকাশসীমায় প্রবেশ করে। এর মধ্যে হঠাৎই বিমানটির আচরণ অস্বাভাবিক হয়ে ওঠে। তখন পাইলট কন্ট্রোল রুমে জানান, ‘বিমান ভাসছে না...মনে হচ্ছে নিচে পড়ছে।’

তাৎক্ষণিকভাবে কন্ট্রোল রুম থেকে ইজেক্ট (বিমান থেকে বের হয়ে যাওয়া) করার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু তৌকির শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বিমানটিকে নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালিয়ে যান। সর্বোচ্চ গতিতে তিনি বিমানটি বেসে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেন। এর মধ্যেই কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে তার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। মাত্র এক থেকে দেড় মিনিটের মধ্যে বিমানটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাইলস্টোন স্কুল ভবনের ওপর আছড়ে পড়ে।

জানা গেছে, ট্রেনিংয়ের এই সর্বশেষ ধাপে একজন বৈমানিককে সলো বা এককভাবে বিমান চালাতে হয়; যা তার স্কিল ও প্রস্তুতির সর্বোচ্চ পরীক্ষা।

যুদ্ধবিমান চালানোর জন্য একজন পাইলটের যে উচ্চ দক্ষতা দরকার, সেটিই প্রমাণিত হয় সলো ফ্লাইটের মাধ্যমে। ট্রেনিংয়ের এ পর্যায়ে পাইলটকে নেভিগেটর বা কো-পাইলট বা কোনো ধরনের ইন্সট্রাক্টর ব্যতীত একাই ফ্লাইট অপারেট করতে হয়।

বিমানবাহিনীর সাবেক একাধিক কর্মকর্তা জানান, যেকোনো ধরনের প্রশিক্ষণ ফ্লাইট জনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে দূরেই হয়ে থাকে। তবে সলো ফ্লাইট সাধারণত নগরাঞ্চলেই হয়ে থাকে। এ ধরনের ফ্লাইটের জন্য পাইলটকে যথেষ্ট দক্ষ ও যোগ্যতাসম্পন্ন হতে হয়। ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির তেমনই একজন পাইলট ছিলেন।

এদিকে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানোর সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী বিমান দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৩২ জন৷ রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ১৬৪ জন।

ঢাকা এক্সপ্রেস/আরইউ

এ সম্পর্কিত খবর

আরও পড়ুন