শিরোনাম
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৯:৩৫, ২৩ জুলাই ২০২৫
ছবি: ঢাকা এক্সপ্রেস
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, ফতুল্লা কাশিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মইনুল ইসলাম রতন ও সাধারণ সম্পাদক আরিফ মন্ডলের নেতৃত্বে একটি চিহ্নিত চক্র দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে রেখেছে। কখনো জমি সংক্রান্ত বিরোধে পক্ষ হয়ে বিপক্ষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা আদায়, আবার কখনো রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বা সাধারণ মানুষকে মিথ্যা মামলায় জড়ানোর ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়ের ঘটনা এখন নিয়মিত বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে।
বক্তারা বলেন, বিএনপির নাম ব্যবহার করে এই নেতারা এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। দলীয় পদ-পদবি ব্যবহার করে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করছে, এমনকি নিজেদের দলের কর্মীদেরকেও কোনো বিরোধ হলেই মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেয়। তারা আরো অভিযোগ করেন, জমি দখল, ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণ, বালু ব্যবসা, এমনকি পারিবারিক বিরোধেও এদের হস্তক্ষেপ থাকে, এবং সব ক্ষেত্রেই আর্থিক লেনদেন ছাড়া কোনো বিষয় সমাধান হয় না।
এলাকাবাসীর দাবি, এইসব অনিয়ম, চাঁদাবাজি ও অপশক্তির রাজনীতির বিরুদ্ধে প্রশাসনকে দ্রুত হস্তক্ষেপ করতে হবে। মানববন্ধনে বক্তারা সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, যত দ্রুত সম্ভব তদন্ত সাপেক্ষে এইসব অপকর্মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে, যাতে কাশিপুরের সাধারণ মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে পারে।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ, ক্ষতিগ্রস্ত ভুক্তভোগী পরিবার, সমাজকর্মী এবং প্রবীণ নাগরিকরা। তারা বলেন, আমরা বিএনপির রাজনীতি বা আদর্শের বিরুদ্ধে নই, কিন্তু যাদের হাতে দলের নেতৃত্ব, তারা যদি চাঁদাবাজি আর মামলা বানিজ্যে লিপ্ত থাকে, তাহলে তো সাধারণ মানুষের কোনো আশ্রয় থাকে না।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকেই অভিযোগ করেন, সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক ঘটনায় স্থানীয়ভাবে বিরোধ মেটাতে গেলে মইনুল ইসলাম রতন ও আরিফ মন্ডলের পক্ষ থেকে আর্থিক দাবির কথা উঠে এসেছে। কেউ কেউ অভিযোগ করেন, ‘সুরাহা চাইলে টাকা লাগব’- এমন মনোভাব নিয়েই ইউনিয়নের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি ও সামাজিক বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছেন তারা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফতুল্লা কাশিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মইনুল ইসলাম রতনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও সংযোগ পাওয়া যায়নি। তবে সাধারণ সম্পাদক আরিফ মন্ডল দাবি করেছেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। একটি মহল আমাদের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে এসব অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে।’
এই বিষয়ে জেলা বিএনপির পক্ষ থেকেও এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
এলাকাবাসীরা বলেন, যদি দ্রুত ব্যবস্থা না নেওয়া হয় তবে তারা কঠোর কর্মসূচির দিকে যাবে। ভবিষ্যতে ধারাবাহিকভাবে আরো বড় পরিসরে প্রতিবাদ সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি দেওয়ার কথাও জানান তারা।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ইউকে