শিরোনাম
রাজবাড়ী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২০:২৫, ২৩ জুলাই ২০২৫
ছবি: ঢাকা এক্সপ্রেস
বর্তমানে দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসাবে কোন প্রশাসনিক কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। এজন্য দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদে সেবা নিতে গেলে মানুষগুলো চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। আর এভাবেই ঢিলেঢালাভাবে চলছে দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম।
গতকাল দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ ঘুরে দেখা গেছে, দৌলতদিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে অনেক লোকজনের ভীড় দেখা যায়। তারা তাদের প্রয়োজনীয় কাগজ-পত্র নেওয়ার জন্য আসছেন কিন্তু তারা সঠিক সেবা পাচ্ছেন না। দেশের স্থানীয় সরকারের সর্বনিম্ন অথচ সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ইউনিয়ন পরিষদ। জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা ও সুখ-দুঃখের সাথে এই প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিগন আপদ বিপদে প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে সকল প্রকার জনগোষ্ঠীর বৃহত্তর অংশ সবার আগে ইউনিয়ন পরিষদে আসতে হয়। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সাধারণ মানুষের জন্ম নিবন্ধন সনদ, মৃত্যু সনদ, ওয়ারিশ সার্টিফিকেট, চেয়ারম্যান কর্তৃক প্রদত্ত পরিচয় পত্র ট্রেড লাইসেন্স সহ নানা সনদ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নিতে হয়।
ইউনিয়ন পরিষদ সরকারের প্রদত্ত সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় সুবিধা পেতেও হতদরিদ্রদের ধর্ণা ধরতে হয় চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্বে থাকা সদস্যদের কাছে। তবে এ ধরনের সেবা পেতে প্রতিনিয়ত নানাভাবে ভোগান্তির শিকার হতে হয় সাধারণ মানুষকে। আরজু শেখ, জাহাঙ্গীর, শফি নামে কয়েকজন ব্যক্তি জানান, দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদে এসে ছিলাম একটি নাগরিক সনদ নিতে। ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে শুনলাম চেয়ারম্যানের দায়িত্ব কেউ নেই। ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্বে থাকা এক লোক বললো, দুই তিন দিন পরে আসেন। আমার মত অনেকেই দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদে এসে ঘুরে যাচ্ছে। কিছুই করার নেই আমাদের সেবা নিতে এসে ফিরে যেতে হচ্ছে। মালেকা, সিরজিনা, কোহিনুর সহ অনেক মহিলারা বলেন আমাদের সন্তানদের জন্য নিবন্ধন করার জন্য অনেক দিন যাবৎ ঘোরাঘুরি করছি কোন সুফল পাচ্ছি না। মহিলাগন আরো বলেন, সন্তান জন্ম দেওয়া যতটা কষ্টকর, তার চাইতে বেশি কষ্ট হয় সন্তানের জন্ম নিবন্ধন করা। কবে এ ভোগান্তির শেষ হবে আমরা জানি না।
দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মো. মেনামুল হোসেন মিন্টু ঢাকায় বিশেষ ট্রেনিংয়ে থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাহিদুর রহমান জানান, দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসনিক কর্মকর্তা চেয়ারম্যান হিসাবে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা খোকনুজ্জামান মিয়া ছিলেন, কিন্তু তার মেয়াদ শেষ হওয়া ও বদলিজনিত কারণে পদটি শূন্য হয়ে গেছে। দৌলতদিয়া ইউনিয়নে
জনগণের ভোগান্তি দূর করতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মন্ত্রণালয় বরাবর চিঠি দিয়েছি। মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত কোন নির্দেশ আসলে আমরা অতি দ্রুত সময়ের মধ্য কোন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দিয়ে এ সমস্যার সমাধান করব বলে তিনি জানান।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ইউকে