শিরোনাম
কুমিল্লা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২১:১৯, ২৩ জুলাই ২০২৫
ছবি: ঢাকা এক্সপ্রেস
প্রবল ক্ষোভে তিনি বলেন, মাইলস্টোনের বিমান দুর্ঘটনাকে আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক আলু পোড়া বানিয়ে খেতে চেয়েছিল। তারা চেয়েছিল গুজব রটিয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করতে। লাশ গুমের নাটক করে দেশে অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা হয়েছে। আমরা সরকারকে বলতে চাই লাশ নিয়ে যদি বিতর্ক থাকে, তাহলে জনগণের সামনে সত্যটা আনুন। একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত কমিশন গঠন করতে হবে।
বক্তৃতার এক পর্যায়ে তিনি বলেন, আপনি বিএনপি করেন সমস্যা নেই, জামায়াত করেন সমস্যা নেই কিন্তু আওয়ামী লীগের সাথে সখ্যতা? সেটা আমরা বরদাশত করবো না। কারণ আওয়ামী লীগ মানেই ফ্যাসিবাদ, দমন-পীড়ন, সাম্প্রদায়িক নাটক।
তিনি সব রাজনৈতিক দলের উদ্দেশে বলেন, আমরা আহ্বান জানাই আসুন, দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হই। ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তিকে এক প্ল্যাটফর্মে আনতে হবে। ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই।
কুমিল্লায় সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার প্রসঙ্গ টেনে এনসিপি নেতা বলেন, আমরা দেখেছি, কীভাবে পরিকল্পিতভাবে মন্দিরে পবিত্র কোরআন রেখে হিন্দু-মুসলিম সম্প্রীতি ধ্বংসের চেষ্টা করা হয়েছে। এটি এক ভয়ানক রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র ছিল।
তিনি বলেন, কুমিল্লা রাষ্ট্রীয় বৈষম্যের শিকার। এই জেলার মানুষ আত্মনির্ভরশীল। তারা নিজের যোগ্যতায় বিদেশে যায়, ইনকাম বাড়ায়, চাকরি পায়। অথচ কুমিল্লায় কাঙ্খিত উন্নয়ন হয়নি। স্বৈরাচারী সরকারের সময় থেকে আমরা পিছিয়ে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, সুরা লোকমানের আয়াত আছে, জমিনে দম্ভভরে চলো না। আর হাসিনা বলেছে, কুমিল্লা নামে বিভাগ হবে না। কিন্তু আমরা বলছি হবে, কুমিল্লা নামেই হবে। দম্ভের জবাব দেবে কুমিল্লা।
সভায় সভাপতিত্ব করেন এনসিপি কুমিল্লা মহানগরের আহ্বায়ক সিরাজুল হক।
বক্তব্য দেন, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, সিনিয়র মুখ্য সংগঠক সাদিয়া ফারজানা দিনা, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমীন, যুগ্ম সদস্য সচিব জয়নাল আবেদীন শিশির, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দিন পাটোয়ারী, সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ, তত্ত্বাবধায়ক নাভিদ নওরোজ শাহ, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হাফসা জাহান, যুবশক্তির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তারিকুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় সংগঠক মাজহারুল ইসলাম হানিফ, কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব নাহিদা সারোয়ার নিবারাসহ অনেকে।
সমাবেশজুড়ে ছিল প্রতিবাদী স্লোগান, ছিল ঐক্যের ডাক। কুমিল্লা বিভাগ গঠনের দাবি ও দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ই ছিল পুরো কর্মসূচির মূল সুর।
‘এই লড়াই কুমিল্লার, এই লড়াই দেশের- জিততেই হবে’ এই স্লোগানেই শেষ হয় আজকের এনসিপি সমাবেশ।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ইউকে