শিরোনাম
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৯:৫০, ২৩ জুলাই ২০২৫
ছবি: ঢাকা এক্সপ্রেস
গত তিন বছর যাবত ভাড়া এবং ট্রাক্টর কোনটিই ফেরৎ না দিয়ে নিজের কাছে আটকে রেখেছেন তিনি। এমনকি ট্রাক্টরটি ফেরৎ চাওয়ায় প্রতিবন্ধী ওই ব্যবসায়ীকে গুলি করে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছেন নুরুল ইসলাম বুলবুল। এ ব্যাপারে পাকুন্দিয়া থানায় অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার মিলেনি। বুধবার দুপুরে কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের গৌরাঙ্গবাজারে একটি নিউজ পোর্টাল কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী প্রতিবন্ধী মো. মজিবুর রহমান নজরুল। তিনি পাকুন্দিয়া পৌর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সৈয়দ্গাঁও গ্রামের মরহুম হাজী শাফি উদ্দিনের ছেলে। অন্যদিকে অভিযুক্ত যুবদল নেতা নূরুল ইসলাম বুলবুল পাকুন্দিয়া উপজেলার চণ্ডিপাশা গ্রামের মরহুম ইছমাইল হোসেনের ছেলে ও কিশোরগঞ্জ জেলা যুবদলের সদস্য।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী প্রতিবন্ধী মো. মজিবুর রহমান নজরুল তার ট্রাক্টর ফেরতসহ বকেয়া ভাড়া পাওয়ার জন্য প্রশাসন এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। লিখিত বক্তব্যে মজিবুর রহমান নজরুল জানান, তিনি একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী। অন্যের সাহায্য নিয়ে লাঠিতে ভর করে তাকে চলাফেরা করতে হয়। ২০১৯ সালে তিনি ১৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা দিয়ে একটি ট্রাক্টর কিনেন। পরবর্তীতে তিনি ২০২২ সালের ১লা সেপ্টেম্বর মাসিক ৫০ হাজার টাকা ভাড়ায় এক মাসের জন্য নূরুল ইসলাম বুলবুলকে ট্রাক্টরটি ভাড়া দেন। কিন্তু দীর্ঘ প্রায় তিন বছর যাবৎ কোনো ধরনের ভাড়া না দিয়ে ট্রাক্টরটি বুলবুল নিজের কাছে আটকে রাখেন। এই দীর্ঘ সময়েও ট্রাক্টরটি ফেরৎ কিংবা কোনো ধরনের ভাড়া না পেয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে নজরুল কষ্টে জীবনযাপন করছেন।
সম্প্রতি তিনি তার ট্রাক্টর গাড়ি ফেরৎ ও ভাড়ার টাকা চাইতে গেলে নূরুল ইসলাম বুলবুল তাকে গুলি করার হুমকি দিয়েছেন। এ ব্যাপারে পাকুন্দিয়া থানায় অভিযোগ করার পরও কোনো প্রতিকার পাননি নজরুল। এ ছাড়া তিনি স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীদের দ্বারস্থ হয়ে ট্রাক্টরটি উদ্ধার ও ভাড়ার টাকা পাওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন। এখন তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এসব অভিযোগের ব্যাপারে যুবদল নেতা নূরুল ইসলাম বুলবুল সাংবাদিকদের বলেন, আমি ২০১৮ সালে সিঙ্গাপুর থেকে দেশে এসে মজিবুর রহমান নজরুলের অংশীদারী ব্যবসা শুরু করি। টাকা-পয়সা ও হিসাব-নিকাশ থাকতো নজরুলের কাছে। এক পর্যায়ে আমার পাওনা ১৭ লাখ টাকা নজরুল অস্বীকার করে। এ নিয়ে পাকুন্দিয়া বাজার বণিক সমিতিতে দরবার হয় এবং বিষয়টি সবাই জানে। তার কোনো ট্রাক্টর আমি নিইনি। বরং আমার ট্রাক্টরটা ওর ইটখোলায় নিয়ে লুকিয়ে ফেলেছিলো। পরে পুলিশ দিয়ে ট্রাক্টরটি উদ্ধার করে আনি। এখন সে আমার পাওনা না দেওয়ার জন্য ট্রাক্টর ভাড়া দেওয়ার মিথ্যা নাটক সাজাচ্ছে। তার ট্রাক্টর তার কাছেই আছে।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ইউকে